ভারতে, মানুষ প্রচুর পরিমাণে নিজের নামে ক্রেডিট কার্ড পাচ্ছে। মানুষ ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নিয়েও অনেক খরচ করছে। এখন প্রশ্ন আসে কেন ব্যাংক নিজেই ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে?

আসলে, ক্রেডিট কার্ড ব্যাংকের আয়ের একটি বড় উৎস। এর ফলে, গ্রাহকের সংখ্যা কেবল বৃদ্ধি পায় না বরং তারা আরও বেশি করে ব্যয় করতে উৎসাহিত হয়।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সময় এই বিষয়গুলো মনে রাখবেন

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার সময়, আপনার ক্রেডিট ব্যবহারের অনুপাত পরীক্ষা করে দেখা উচিত। অর্থাৎ, আপনি এক মাসে ক্রেডিট কার্ডের সীমার কত অংশ ব্যবহার করেন? এটি ক্রেডিট স্কোরের উপর বড় প্রভাব ফেলে। ভালো ক্রেডিট স্কোরের জন্য, ক্রেডিট ব্যবহারের অনুপাত কম বা ৩০ শতাংশের নিচে রাখা বাঞ্ছনীয়।

ক্রেডিট কার্ড থেকে ব্যাংকের লাভ

ব্যাংকগুলি ক্রেডিট কার্ডের উপর বড় বাজি ধরে এবং আপনাকে আরও বেশি করে সেগুলি অফার করে। কারণ ব্যাংকগুলি ক্রেডিট কার্ড থেকে সুদের হার, বার্ষিক চার্জ, পুনঃইস্যুইং চার্জ, মার্চেন্ট ফি আকারে মুনাফা অর্জন করে। এছাড়াও, ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়মতো পরিশোধ না করলে বকেয়া টাকার উপর সুদ নেওয়া হয়। অনেক সময় সুদের সাথে বিলম্বে পেমেন্ট ফিও যোগ করা হয়। ব্যাংক প্রতিটি লেনদেনের উপর বিনিময় ফি আকারে মুনাফা অর্জন করে। ভারতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবসা দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যয় বছরে ১০.৮ শতাংশ বেড়ে ১.৮৪ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

ক্রেডিট কার্ডের উপর ব্যাংক অফার

ব্যাংকগুলি পুরষ্কার প্রকল্প, ক্যাশব্যাক, বিমান ভ্রমণে ছাড়, বিনামূল্যে লাউঞ্জ অ্যাক্সেসের মতো বিভিন্ন সুবিধার মাধ্যমে গ্রাহকদের আকর্ষণ করে। অনেক সময় লোকেরা ক্রেডিট ইতিহাস তৈরি করতে বা ক্রেডিট স্কোর পরিচালনা করতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে যাতে ভবিষ্যতে ঋণ নিতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হয়।