সবাই ভেবেছিল এটা আত্মহত্যার ঘটনা, কিন্তু পরিবারের খেলা নষ্ট করে দিয়েছে, স্ত্রী পা ধরেছে আর মেয়ে হাত ধরেছে

শনিবার রাতে, মধ্যপ্রদেশের মোরেনার বাসিন্দা হরেন্দ্র মৌর্য গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। পরের দিন, রবিবার সকালে, পরিবার পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু এর পরপরই, এই মামলার সাথে সম্পর্কিত একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়, যা পুরো বিষয়টিকে নতুন মোড় দেয়।

আসলে, ভাইরাল ভিডিওতে, শহরের গান্ধী কলোনিতে বসবাসকারী হরেন্দ্র মৌর্যকে তার স্ত্রী এবং কন্যারা লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পেটাতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি দেখার পর পুলিশও হুঁশ হারিয়ে ফেলেছে।

ভাইরাল ভিডিওতে, হরেন্দ্র মৌর্যকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে তার স্ত্রী রচনা মৌর্য তার পা ধরে আছেন। তার এক মেয়ে তার হাত ধরে আছে, আর অন্য মেয়ে তাকে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পেটাচ্ছে। কাছে বসে থাকা হরেন্দ্রের ছোট ছেলে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও বড় বোন লাঠির ভয় দেখিয়ে তাকে চুপ করিয়ে দেয়।

৯টি দেশের মহিলা রাষ্ট্রদূতরা আদানি গ্রুপের জ্বালানি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন, প্রকল্পে মহিলাদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন

ভিডিওটি প্রকাশের পর পুলিশ তদন্তের পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে

ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকে, পুলিশ তদন্তের ক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে। মৃত হরেন্দ্র মৌর্যের পোস্টমর্টেম এখন গোয়ালিয়র মেডিকেল কলেজের বোর্ড করবে। মামলার বিষয়ে সিএসপি মোরেনা দীপালি চান্দোলিয়া বলেন, গান্ধী কলোনির বাসিন্দা হরেন্দ্র মৌর্যের আত্মহত্যার তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে সিটি কোতোয়ালি পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কিন্তু ভাইরাল ভিডিওটি বিষয়টিকে উল্টে দিয়েছে।

নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

এতে মৃতের পরিবারের সদস্যদের (স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং মা) তাকে মারধর করতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটির ভিত্তিতে সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং গোয়ালিয়র মেডিকেল বোর্ড মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করছে। পুলিশ এখন জানার চেষ্টা করছে যে, হামলার কারণেই হরেন্দ্র এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন কিনা? এই ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *