আশ্রমে সাধুর সঙ্গে থাকত যুবতী, মহিলা কর্মকর্তা ঘরে দেখে চোখ বিস্ফারিত হয়ে গেল

উত্তর প্রদেশের ফররুখাবাদ থেকে একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে এক ব্যক্তি, রাঘব চতুর্বেদী, পাঁচাল ঘাটের আশ্রমে সাধু সেজে বসবাস করছিল। এই আশ্রমে তার সঙ্গে এক মহিলা থাকতেন।
মহিলার নাম মুন্নি ছিল। তিনি প্রতিদিন সকালে আরতিতে অংশ নেওয়ার জন্য মন্দিরে পৌঁছে যেতেন। কিন্তু একদিন সকালে যখন তিনি মন্দিরে এলেন না, তখন লোকেরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। এরপর কিছু সাধু-সন্ত ও পুরোহিত রাঘব চতুর্বেদীকে দেখতে তার ঘরে পৌঁছালে, ভেতরের দৃশ্য দেখে তারা হতবাক হয়ে যায়।
এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশও পৌঁছায়। সাধুর অবস্থা দেখে মহিলা পুলিশ তার চোখ বন্ধ করে ফেলেন।
এখানে বলে রাখা ভালো যে পুরোহিত রাঘবেন্দ্র চতুর্বেদী মেইনপুরির কুকামাই কুরাওলি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার বয়স প্রায় ৪৫ বছর বলে জানা গেছে। কয়েক বছর আগে তিনি ফররুখাবাদের পাঁচাল ঘাট বান্দা এলাকায় অবস্থিত স্বামী রামানন্দ সরস্বতীর আশ্রমে এসে সাধু সেজে থাকতে শুরু করেন। জানা গেছে, এই আশ্রমে তার চাচা স্বামী দিব্যানন্দও থাকতেন, যিনি ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে মারা যান।
কিন্তু সবাই তখন চমকে ওঠে, যখন পুরোহিত রাঘবেন্দ্রের মৃতদেহ আশ্রমের ঘরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতদেহের অবস্থা দেখে পুলিশও স্তম্ভিত হয়ে যায়।
খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। আপাতত পুলিশ মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করিয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, ড. বিজয় অনুরাগী ময়নাতদন্ত করেছেন। তবে, ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয়নি। বলা হয়, মৃত ব্যক্তির একটি দাঁত ভাঙা ছিল এবং নাকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তবে এ দুটো মৃত্যুর কারণ হতে পারে না।
অন্যদিকে, মৃত মহন্ত রাঘবেন্দ্রের পরিবার অভিযোগ করেছে যে রাঘবেন্দ্রের কাছে কিছু টাকা ছিল, যা তিনি আশ্রমে ব্যয় করতে চেয়েছিলেন। ঘটনার দুই দিন আগে থেকেই আশ্রম থেকে এক মহিলা নিখোঁজ হয়ে যান।
ঘটনার খবর পেয়ে সিটি সিও ঐশ্বর্যা উপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি জানান, পাঁচাল ঘাট ঋষি আশ্রমে মহন্তের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। মৃতদেহের পাশে কিছু ওষুধও পাওয়া গেছে। পরিবার খুনের অভিযোগ করেছে, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যে মহিলা নিখোঁজ রয়েছেন, তিনি কে ছিলেন, তা তার সন্ধান পাওয়ার পরই জানা যাবে। আপাতত, নিখোঁজ মহিলাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।