হোলিকা দহন-এর রাতে অবশ্যই করুন এই টোটকা, নষ্ট হবে নজরদোষ, চাকরি-ব্যবসার বাধা দূর হবে, অর্থ প্রবাহ বাড়বে

১৪ মার্চ, সারা দেশে মহোৎসব হিসেবে উদযাপিত হবে হোলি। এই উৎসব শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক এবং প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমার দিন পালন করা হয়। হোলির একদিন আগে অনুষ্ঠিত হয় হোলিকা দহন।
এই বছর ১৩ মার্চ পালিত হবে হোলিকা দহন। হিন্দু ধর্মে এই রাতের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।
জানিয়ে রাখা ভালো, এই দিনে শ্মশান থেকে শুরু করে রাস্তার মোড় পর্যন্ত নানা তন্ত্র-মন্ত্র করা হয়। সেই সঙ্গে, এই রাতটি বিভিন্ন টোটকা ও উপায়ের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাস করা হয়, হোলিকা দহন-এর রাতে করা কিছু বিশেষ উপায় নজরদোষ থেকে মুক্তি দেয় এবং চাকরি, ব্যবসা ও অর্থ লাভের সুযোগ বৃদ্ধি করে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক হোলিকা দহন-এর রাতে কী কী টোটকা করা যেতে পারে—
হোলিকা দহন-এর রাতে করণীয় কিছু বিশেষ উপায়
আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, যদি আপনি আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তাহলে একটি ঝুরি বা জটাযুক্ত নারকেল সংগ্রহ করুন। নারকেলটি এমন হতে হবে যাতে জল বিদ্যমান থাকে। এরপর নারকেলটির গায়ে লাল সুতো দিয়ে সাতবার ঘুরিয়ে ১০ টাকার কয়েন বেঁধে দিন। এখন দুই হাতে নারকেলটি ধরে হোলিকা দহন-এর আগুনে অর্পণ করুন। বলা হয়, এই উপায় করলে দ্রুত আর্থিক সংকট কেটে যায়।
নজরদোষ থেকে মুক্তি
হোলিকা দহন-এর রাতে নজরদোষ থেকে মুক্তি পেতে, গরুর গোবরের সঙ্গে যব, আরসি ও কুশ মিশিয়ে ছোট উপলা তৈরি করুন এবং সেটিকে বাড়ির প্রধান দরজায় ঝুলিয়ে দিন। বিশ্বাস করা হয়, এটি নজরদোষ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
চাকরিতে বাধা দূর করার উপায়
যদি আপনার চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে হোলিকা দহন-এর দিনে একটি নারকেল নিজের মাথার উপর সাতবার ঘুরিয়ে নিন এবং পরে হোলিকা দহন-এর আগুনে অর্পণ করুন। এই উপায়টি চাকরির সমস্যাগুলি দূর করতে সহায়ক বলে মনে করা হয়।
বাস্তুদোষ দূর করার উপায়
যদি আপনার বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি বা বাস্তুদোষ থাকে, তাহলে হোলির পরের দিন স্নান করে নিজের ইষ্টদেবতাকে আবির বা গুলাল নিবেদন করুন। এরপর, বাড়ির ইশান কোণে (উত্তর-পূর্ব দিক) ইষ্টদেবতার মূর্তি স্থাপন করে পূজা করুন। এটি বাস্তুদোষ ও গ্রহদোষ নাশ করে এবং বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি বয়ে আনে।
শিক্ষায় উন্নতির জন্য বিশেষ উপায়
যদি আপনার সন্তান পড়াশোনায় দুর্বল হয়, তাহলে হোলির দিনে তাকে পান, নারকেল ও সুপারি দান করতে দিন। এরপর এই জিনিসগুলো হোলিকা দহন স্থলে স্থাপন করুন। বিশ্বাস করা হয়, এই উপায়টি শিশুর মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ বাড়ায়।