হোয়াইট হাউসে বিতর্কের পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবুও, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী মাত্র ছয় দিনের মধ্যে পুতিনের ১০,০০০ সেনাকে হত্যা করেছে।

এই তথ্য ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ইউক্রেন সরকার জানিয়েছে, ৬ দিনের মধ্যে ১০,০০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে, যা গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১,১০০ জন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার প্রায় ৮,৮০,০০০ সেনা নিহত হয়েছে।

শান্তি চুক্তি নিয়ে বিতর্ক

১ মার্চ হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। এর পরে, ট্রাম্প ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে অস্বীকার করেন। আমেরিকা সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা ইউক্রেনকে আর গোয়েন্দা তথ্যও দেবে না। এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হয়েছিল। তবে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী নিজেদের গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

কবে কত সেনা নিহত হলো?

• ৫ মার্চ: ইউক্রেনীয় সেনা ১,২৫০ রুশ সেনাকে হত্যা করে। একই দিনে রাশিয়ার ২৩টি আর্টিলারি সিস্টেম এবং ৮৬টি জ্বালানির ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়।
• ৬ মার্চ: ইউক্রেনীয় সেনা ১,১৪০ রুশ সেনাকে হত্যা করে। ড্রোন ব্যবহার করে ৫টি রুশ ট্যাংকও ধ্বংস করা হয়।
• ৭ মার্চ: ইউক্রেনীয় সেনারা ১,১৫০ রুশ সেনাকে হত্যা করে। এই সময় ৭টি AFV ট্যাংক ধ্বংস করা হয় এবং ২টি অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেমও নামিয়ে দেওয়া হয়।
• ৮ মার্চ: যুদ্ধের পরের দিন ১,০০০ রুশ সেনা নিহত হয়। ইউক্রেনীয় বাহিনীর আক্রমণে রাশিয়ার ৪টি কামান ও ১১৩টি জ্বালানির ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়। একই দিনে উত্তর কোরিয়ার বিখ্যাত এম-ক্যাননও ধ্বংস করা হয়।
• ৯ মার্চ: ইউক্রেনীয় সেনারা ১,১৮০ রুশ সেনাকে হত্যা করে। একই সাথে ৫৮টি আর্টিলারি সিস্টেম ধ্বংস করা হয়।
• ১০ মার্চ: ইউক্রেনীয় সেনারা ১,১৯০ রুশ সেনাকে হত্যা করে। এই সময় ১৮টি ট্যাংক এবং ৬৫টি আর্টিলারি সিস্টেম ধ্বংস করা হয়।