গতকাল রাতে দুবাইয়ে ভারতীয় দল ইতিহাস রচনা করেছে। ভারত ১২ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিজের করে নিয়েছে। উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর আয়োজক ছিল পাকিস্তান, তবে ভারত পাকিস্তানে খেলতে যেতে অস্বীকার করেছিল।

এরপর, টুর্নামেন্টটি হাইব্রিড মডেলে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থাৎ, ভারত তার সমস্ত ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবে, আর বাকি ম্যাচগুলো পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে। যেহেতু ভারত ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল, তাই আয়োজক হয়েও পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচটি আয়োজন করতে পারেনি, এবং ফাইনালটি দুবাইয়ে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনালে ভারত বিজয়ী হওয়ার পর, পুরো পাকিস্তানি সমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে সবাই অবাক হয়ে যাচ্ছে।

ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে যেখানে এক পাকিস্তানি ব্যক্তি বলছে,
“আমার দিক থেকে এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে আবর্জনার ডিব্বেতে ফেলে দেওয়া উচিত। এমন জয়কে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া উচিত। এটা কোনো জয় নয় ভাই, এটা কোনো জয় নয়! যদি পাকিস্তানে এসে খেলতে পারতে তাহলে বোঝা যেতো। পাকিস্তানে এসে মারো, পাকিস্তানে তো খেলতে আসো না। বাইরে থেকে বসে সবাইকে হিরো সাজার চেষ্টা করছো!”

ক্রিকেট বোর্ড নিয়ে মন্তব্য

ওই পাকিস্তানি ব্যক্তি আরও বলেন,
“গৌতম গম্ভীর প্রেস কনফারেন্সে বলে যে আমাদের কী সুবিধা হচ্ছে? শোনো, তুমি ভারতেই হও বা দুবাইয়ে, একই কথা। তুমি কি অস্ট্রেলিয়া গিয়ে খেলছো? বা ইংল্যান্ডে খেলছো? আসল ব্যাপার হলো, ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে কঠোর হতে হবে। টাকার লোভে এসব অন্যায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এবং সবাইকে চুপ করিয়ে রাখা হচ্ছে।”

“ম্যাচ জমে গিয়েছিল, কিন্তু ভারত ছিল একেবারে নির্ভার”

তিনি আরও বলেন,
“এটা কী ধরনের টুর্নামেন্ট যেখানে সব দল পাকিস্তানে খেলছে, আর ভারত দুবাইয়ে? বলো তো, নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে কেমন খেলেছিল আর দুবাইয়ে কেমন খেলছে? পাকিস্তানে গিয়ে এদের শটই লাগছিল না, কিন্তু দুবাইয়ে তারা ভালো খেলল! এর মানে তারা সুবিধা পাচ্ছে, তাই প্রথম ম্যাচ থেকেই তারা নির্ভার ছিল। আজও দেখো, ম্যাচ জমে গিয়েছিল, কিন্তু তারা একেবারে রিল্যাক্স ছিল, কারণ জানতো নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা ততটা ভালো নয়!”

শোয়েব আখতার তুললেন প্রশ্ন

এর আগেও শোয়েব আখতার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠানে পিসিবি চেয়ারম্যান বা অন্য কোনো পাকিস্তানি কর্মকর্তার অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন,
“এটি আমার বোধগম্য নয়। বিশ্বমানের একটি ম্যাচে এমন ঘটনা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। কর্মকর্তাদের মঞ্চে থাকা উচিত ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা তা দেখিনি।”