মনোযোগ গ্রীষ্মকাল আসার সাথে সাথে এই সাপের বিপদ কেন বেড়ে যায়? বিষক্রিয়া এড়াতে এই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলি করুন

গ্রীষ্মকালে ভারতে সাপের আক্রমণ বেড়ে যায়, বিশেষ করে কোবরা এবং রাসেলস ভাইপারের মতো মারাত্মক সাপের আক্রমণ। এই দুটি সাপই অত্যন্ত বিষাক্ত এবং এদের কামড় জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
তাদের কার্যকলাপ সাধারণত মার্চ মাসে শুরু হয় যখন তারা দীর্ঘ ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং খাবারের সন্ধানে মাঠ, বাগান এবং আবাসিক এলাকায় পৌঁছাতে শুরু করে।
কোবরা সাপ
আকর্ষণীয় চেহারা সত্ত্বেও, কোবরা অত্যন্ত বিষাক্ত। এটি ভারত ও পাকিস্তানে পাওয়া যায় এবং সাধারণত বাদামী বা কালো রঙের হয় এবং এর শরীরে সাদা বা হলুদ দাগ থাকে। এর বিষ নিউরোটক্সিনে পূর্ণ যা শরীরের স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে এবং পেশীগুলিকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করতে পারে। কোবরা তার মাথা প্রসারিত করে এবং শিকারকে ভয় দেখানোর জন্য হুমকিস্বরূপ ভঙ্গি নেয়, যার পরে এটি দ্রুত আক্রমণ করে। এটি বেশিরভাগই রাতে সক্রিয় থাকে।
রাসেল ভাইপার
রাসেলের ভাইপার ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এটি প্রায় ৩ থেকে ৪ ফুট লম্বা হয় কিন্তু কখনও কখনও ৬ ফুট পর্যন্তও বাড়তে পারে। এর বিষাক্ততা এত বেশি যে এটি একজন মানুষকে হত্যা করার সম্ভাবনা রাখে। এই সাপের বিষে “হিমোটক্সিন” থাকে যা রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং রক্তকণিকা ধ্বংস করে, যার ফলে পেশীগুলি গলে যায়। সময়মতো চিকিৎসা করালে এই সাপের কামড় থেকে জীবন বাঁচানো সম্ভব।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
যদি আপনি এই সাপগুলি এড়াতে চান, তাহলে বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে সাবধান থাকুন। সাপ এড়াতে, খোলা মাঠ বা বনাঞ্চলে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। যদি আপনি কোন সাপের মুখোমুখি হন, তাহলে আতঙ্কিত হবেন না, ধীরে ধীরে পিছনে সরে যান এবং বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের সাহায্য নিন।
এই দুটি সাপের বিষাক্ততা এড়াতে, সময়মত চিকিৎসা এবং সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।