এয়ারস্ট্রাইক বন্ধ করুন, না হলে হত্যা করা হবে বন্দিদের; ট্রেন হাইজ্যাকের পর পাকিস্তান সরকারকে বালুচ আর্মির চূড়ান্ত সতর্কতা

এয়ারস্ট্রাইক বন্ধ করুন, না হলে হত্যা করা হবে বন্দিদের; ট্রেন হাইজ্যাকের পর পাকিস্তান সরকারকে বালুচ আর্মির চূড়ান্ত সতর্কতা

পাকিস্তানে সন্ত্রাসীরা জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি হাইজ্যাক করেছে। এই ঘটনাটি শাহবাজ শরীফ সরকারের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। ট্রেনটিতে ৪৫০-রও বেশি যাত্রী রয়েছে, যাদের সবাইকে বন্দুকের নলের সামনে রাখা হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি (BLA) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। সন্ত্রাসীরা পাকিস্তান সরকারকে চূড়ান্ত সতর্কতা দিয়ে বলেছে, যদি সেনাবাহিনী বন্দিদের উদ্ধারের জন্য বিমান হামলা বন্ধ না করে, তাহলে তারা সমস্ত বন্দিদের হত্যা করবে।

বালুচ আর্মি এক বিবৃতিতে বলেছে, ট্রেন হাইজ্যাকের পর তারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর স্থল অভিযান ব্যর্থ করে দিয়েছে। পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটেছে, তবে হেলিকপ্টার ও ড্রোনের মাধ্যমে বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। BLA হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি পাকিস্তান বিমান হামলা চালিয়ে যায়, তবে তারা ১০০-র বেশি বন্দিকে হত্যা করবে। উল্লেখ্য, ট্রেন হাইজ্যাকের ঘটনাটি পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের একটি সংবেদনশীল এলাকায় ঘটেছে।

পাকিস্তান সরকারের প্রতিক্রিয়া

সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্রোহীদের হামলায় ট্রেনের চালক আহত হয়েছেন এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা পাল্টা গুলি চালিয়েছে। ‘ডন নিউজ’ সরকারি মুখপাত্র শাহিদ রিন্দের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে হামলাটি কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে বোলান জেলায় সংঘটিত হয়েছে।

প্রাদেশিক সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিবি হাসপাতালকে জরুরি অবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া, অ্যাম্বুলেন্স এবং নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

রিন্দ বলেছেন, পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “রেলওয়ে বিভাগ উদ্ধারকাজের জন্য আরও ট্রেন পাঠিয়েছে।” এতে আরও বলা হয়েছে, “ঘটনার ব্যাপ্তি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাত্রা মূল্যায়ন করা হচ্ছে। বালুচিস্তান সরকার জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এবং সমস্ত সংস্থাকে সতর্ক থাকতে বলেছে।”

এদিকে, রেলওয়ে কন্ট্রোলার মুহাম্মদ কাসিফ জানিয়েছেন, নয়টি বগি বিশিষ্ট ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন। তিনি বলেন, “ট্রেনটি টানেল নম্বর ৮-এ অস্ত্রধারীদের দ্বারা আটকানো হয়েছে। যাত্রী ও রেলকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।”

উল্লেখযোগ্য যে, গত বছরের অক্টোবর মাসে পাকিস্তান রেলওয়ে দেড় মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কোয়েটা ও পেশোয়ারের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু করার ঘোষণা করেছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *