এখন সন্ত্রাসীরা নিজেরাই পাকিস্তানের জন্য সমস্যা হয়ে উঠছে, যে দেশটি সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল। বিশ্ব আজ তার উদাহরণ দেখছে। মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে একটি ট্রেন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

গুলিবর্ষণে অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন। অনেক পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার খবরও রয়েছে। এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন ডিজিপি এসপি বৈদ একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। পাকিস্তান এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন ডিজিপি এসপি বৈদ বলেছেন যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং সেখানকার সরকার বেলুচিস্তানের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। বেলুচিস্তানের ৬-৭টি জেলা এখন সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে। এখানে সেনাবাহিনী বা সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এমন পরিস্থিতিতে, আজ যা ঘটেছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমরা আপনাকে বলি যে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করেছে।

বিএলএ কী বলেছে?

ট্রেনটি কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া হয়ে পেশোয়ার যাচ্ছিল, যেখানে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিল। এর পর, গুদালার এবং পিরু কোনেরির মধ্যে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। হামলার দায় স্বীকার করে বিএলএ বলেছে যে তারা ট্রেনটিতে আক্রমণ করে এটি দখল করেছে। এছাড়াও, ৬ জন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। ১০০ জনেরও বেশি যাত্রীকে জিম্মি করা হয়েছে।

বালুচ সেনাবাহিনী কীভাবে চলন্ত ট্রেন ছিনতাই করেছিল? পুরো প্লটটি এখানে বুঝুন

সরকারের প্রতি সতর্কীকরণ

শুধু তাই নয়, বিএলএ একটি বিবৃতি জারি করেছে। এতে পাকিস্তান সরকারকে একটি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যদি কোনও পদক্ষেপ নেয় তবে জিম্মিদের হত্যা করা হবে। এই ঘটনা সম্পর্কে, বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র বলেছেন যে জাফর এক্সপ্রেসে পিরু কোনেরি এবং গুডলারের মধ্যে গুলি চালানোর খবর পাওয়া গেছে। উদ্ধারকারী দল এবং নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। হামলাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।