নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে তামিলনাড়ু মুখ্যমন্ত্রী স্টালিনের ভণ্ডামি! পরিসংখ্যান দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী করলেন এক্সপোজ

নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে তামিলনাড়ু মুখ্যমন্ত্রী স্টালিনের ভণ্ডামি! পরিসংখ্যান দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী করলেন এক্সপোজ

তামিলনাড়ুতে ডিএমকের ভাষাগত চাপ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং এনইপি-র তিন-ভাষা সূত্র নিয়ে তাদের অবস্থান তাদের কথার ও কাজের মধ্যে পার্থক্যকে প্রকাশ করে দিচ্ছে। ডিএমকে, তামিল গৌরব ও সংস্কৃতির সুরক্ষার বদলে রাজনৈতিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

তামিল মাধ্যমের স্কুলে ছাত্রসংখ্যার ব্যাপক পতন

যদি পরিসংখ্যানের দিকে তাকানো যায়, তাহলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তামিল মাধ্যমের স্কুলগুলিতে ছাত্রসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে, অথচ ডিএমকে শুধুই কথার ফুলঝুরি ছড়াচ্ছে।

ডিএমকের সাম্প্রতিক মন্তব্য এনইপি ২০২০-এর তিন-ভাষা সূত্র এবং ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তামিল গৌরব রক্ষার দাবি করে, কিন্তু পরিসংখ্যান ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে।

শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তামিল মাধ্যমের ছাত্রভর্তির সংখ্যা ২০১৮-১৯ সালে যেখানে ৬৫.৮৭ লক্ষ ছিল, তা ২০২৩-২৪ সালে কমে ৪৬.৮৩ লক্ষে নেমে এসেছে। মাত্র পাঁচ বছরে ১৯.০৫ লক্ষ ছাত্রসংখ্যা কমে যাওয়া এক বিশাল পতন। এটি কোনো সাধারণ পরিবর্তন নয়; এটি সমাজে ভাষাগত অগ্রাধিকারের একটি গভীর পরিবর্তনের প্রতিফলন।

৬৭% ছাত্র এখন ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে পড়ছে

বর্তমানে, ৬৭% ছাত্র ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে পড়ছে, যেখানে ২০১৮-১৯ সালে তামিল মাধ্যমের ছাত্রভর্তি ছিল ৫৪%, তা ২০২৩-২৪ সালে কমে ৩৬%-এ নেমে এসেছে। সরকারি স্কুলে, ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রসংখ্যা পাঁচ গুণ বেড়ে ৩.৪ লক্ষ থেকে ১৭.৭ লক্ষে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে তামিল মাধ্যমের ছাত্রভর্তি ৭.৩ লক্ষ কমে গেছে।

এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে, সামাজিক চিন্তাধারায় পরিবর্তন এসেছে, যেখানে ইংরেজিকে উচ্চ মর্যাদা ও চাকরির সুযোগের মাধ্যম হিসেবে দেখা হচ্ছে, অথচ ভারতীয় ভাষাগুলিকে পিছিয়ে পড়ার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এনইপি ২০২০-র মাতৃভাষায় শিক্ষাকে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা এই ধারণার বিপরীতে কাজ করছে এবং এ কারণেই এটি সমালোচনার মুখে পড়ছে।

O

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *