দেশ থেকে এই চারটি বড় আইন বাতিল হতে চলেছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্পূর্ণ প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ লোকসভায় ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল ২০২৫ পেশ করবেন, যা কার্যকর হলে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হলে ইমিগ্রেশন ও বিদেশি নাগরিকদের সংক্রান্ত চারটি পুরনো আইন বাতিল করা হবে।
এই নতুন বিলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ এবং অবৈধভাবে বসবাসের বিরুদ্ধে কঠোর নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তির ভারতে থাকা দেশের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে বা ভুয়া নথির মাধ্যমে সে ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করে, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও, যদি কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি ভারতের সঙ্গে অন্য কোনো দেশের সম্পর্ক খারাপ করে, তবে তাকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এই চারটি পুরনো আইন হবে বাতিল
এই বিলের অধীনে ইমিগ্রেশন অফিসারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত ও বাধ্যতামূলক হিসেবে গণ্য করা হবে। যদিও পূর্বে কর্মকর্তাদের বিদেশিদের ভারতে প্রবেশে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল, তবে তা আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল না। এখন এটি লিখিত আইনে পরিণত হবে। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল ২০২৫ কার্যকর হলে ভারতে চারটি পুরনো আইন বাতিল করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে—
- ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৯৪৬
- পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯২০
- রেজিস্ট্রেশন অফ ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৯৩৯
- ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ২০০০
ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করলে কী শাস্তি হবে?
এই বিলে বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য পৃথক শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। যদি কেউ বৈধ পাসপোর্ট ছাড়া বা ভুয়া নথি ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করে, তবে তাকে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় শাস্তি হতে পারে।
যদি কেউ জালিয়াতির মাধ্যমে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে ভারতে প্রবেশ করে, তবে ২ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে এবং ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থাকলে কত জরিমানা হবে?
এই বিল অনুযায়ী, যদি কোনো বিদেশি নাগরিক ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করেন, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন পরিস্থিতিতে তাকে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
O