যুদ্ধে পুতিনের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করার জন্য ইউক্রেন যে অস্ত্র ব্যবহার করছে তার কতটা ভারতে আছে?

গত তিন বছরের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যুদ্ধের অনেক ঐতিহ্যবাহী নিয়ম বদলে দিয়েছে। এই যুদ্ধে, ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান এবং ভারী অস্ত্রের পরিবর্তে, ছোট, দ্রুত এবং সস্তা ড্রোনগুলি একটি বড় গেম চেঞ্জার হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
বিশেষ করে, ইউক্রেন যেভাবে ড্রোন ব্যবহার করেছে তা রাশিয়ার বিরাট ক্ষতি করেছে এবং পুরো বিশ্বকে দেখিয়েছে যে ড্রোন প্রযুক্তিই আধুনিক যুদ্ধের ভবিষ্যৎ।
এই ড্রোনগুলির ক্ষমতা এতটাই কার্যকর যে এগুলি ঐতিহ্যবাহী যুদ্ধ কৌশলের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে। এখন প্রশ্ন জাগে যে ভারতের কাছে এমন ড্রোনের সংখ্যা কত এবং তাদের দাম কত?
ইউক্রেন কোন ড্রোন ব্যবহার করেছিল?
যুদ্ধে ইউক্রেন মূলত “বায়রাক্টর টিবি-২” এবং “কামিকাজে ড্রোন” ব্যবহার করেছে। বায়রাক্তার টিবি-২ হল একটি তুর্কি তৈরি ড্রোন যা অত্যন্ত নির্ভুলতার সাথে আক্রমণ করতে সক্ষম। কম খরচে প্রস্তুত এই ড্রোনগুলি শত্রুর ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং সামরিক ঘাঁটিতে ব্যাপক আক্রমণ চালাতে পারে।
ভারতের কাছে কয়টি এবং কী ধরণের ড্রোন আছে?
ভারতে ড্রোন প্রযুক্তির উপর কাজ দ্রুতগতিতে চলছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত যুদ্ধ পর্যায়ের ড্রোন প্রযুক্তি তৈরিতে আমরা বিশ্বের পরাশক্তিগুলির চেয়ে পিছিয়ে আছি। ভারতে বিভিন্ন ধরণের ড্রোন রয়েছে, যেগুলি বেশিরভাগই নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হয়।
১. MQ-9B স্কাইগার্ডিয়ান: আমেরিকা থেকে কেনা এই ৬টি ড্রোনের মোট দাম ৪,৪০০ কোটি টাকা। এই ড্রোনগুলি দীর্ঘ দূরত্ব উড়তে পারে এবং শত্রুকে আক্রমণ করতে পারে। ভারত মোট ৩০টি ইউনিট কেনার পরিকল্পনা করছে।
২. প্রজেক্ট চিতা: ভারতীয় সেনাবাহিনী ৩,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরনো হেরন ড্রোন আপগ্রেড করছে। এই ড্রোনগুলি আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত থাকবে। এগুলি ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীতে ব্যবহৃত হবে।
৩. দেশীয় ড্রোন – রুস্তম ১ এবং রুস্তম ২: রুস্তম-১ এর উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু এটি এখনও ব্যাপকভাবে উৎপাদিত হয়নি। রুস্তম-২ হল একটি মাঝারি উচ্চতার দীর্ঘ সহনশীলতা (MALE) UAV, যা ৩০,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে এবং এর পাল্লা ১০০০ কিলোমিটার। এর পেলোড ক্ষমতা ৩৫০ কেজি এবং এটি নজরদারি এবং আক্রমণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. মেহর বাবা সোয়ার্ম ড্রোন প্রকল্প: ভারতীয় বিমান বাহিনী ৫০টি ছোট ড্রোনের একটি সোয়ার্ম ড্রোন তৈরির প্রকল্প শুরু করেছে। এই প্রকল্পের খরচ ১০০ কোটি টাকা। যুদ্ধে শত্রুর রাডার ফাঁকি দেওয়া এবং আক্রমণ করা ছাড়াও, এই ড্রোনগুলি মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ ত্রাণেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভারতের অবস্থান কোথায়?
ভারতে অবশ্যই নজরদারি এবং কৌশলগত উদ্দেশ্যে ড্রোন তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু আমাদের এখনও এমন উন্নত ড্রোনের অভাব রয়েছে যা যুদ্ধে শত্রুর সরাসরি ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। তবে, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এবং বেসরকারি খাতের কো ম্পা নিগুলি এই প্রযুক্তি নিয়ে একসাথে কাজ করছে।
Yud’dhē putinēra sēnābāhinīkē parā