এখন জন্ম সনদের নিয়ম বদলে গেছে। নতুন জন্ম সনদ এভাবেই তৈরি করা হবে, এড়িয়ে যাবেন না!
ভারত সরকার পাসপোর্টের নিয়মে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে, যার ফলে ১ অক্টোবর, ২০২৩ সালের পরে জন্মগ্রহণকারী সকল ব্যক্তির পাসপোর্ট আবেদনের জন্য জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এই পরিবর্তনটি সংশোধিত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০২৩ এর অধীনে কার্যকর করা হয়েছে। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ১ অক্টোবর, ২০২৩ বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী আবেদনকারীদের কেবল তাদের জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসেবে তাদের জন্ম সনদ জমা দিতে হবে।
বয়স্ক আবেদনকারীদের জন্য বিকল্প
যাদের জন্ম ১ অক্টোবর, ২০২৩ এর আগে, তাদের জন্য অন্যান্য নথিপত্রের বিকল্প এখনও উপলব্ধ থাকবে। এই নথিগুলি পাসপোর্ট (সংশোধন) বিধি, ২০২৫ এর অধীনে গৃহীত হবে। এতে নিম্নলিখিত নথিগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
স্থানান্তর শংসাপত্র
স্কুল ত্যাগের সার্টিফিকেট
ম্যাট্রিকুলেশন সার্টিফিকেট
প্যান কার্ড
সরকারি কর্মচারীদের জন্য সার্ভিস রেকর্ড বা পেনশন অর্ডার
ড্রাইভিং লাইসেন্স
ভোটার আইডি কার্ড
এলআইসি বা পাবলিক কো ম্পা নি দ্বারা জারি করা পলিসি বন্ড
‘আজ আমরা রক্ষা পেয়েছি, যদি আবার মিছিল করি তাহলে…’, ভারতে থাকতে কে দেশকে এত ঘৃণা করছে? মহুতে সহিংসতা নিয়ে আরও একটি বড় প্রকাশ
নতুন নিয়ম কেন প্রয়োজন?
সরকারি কাজের গতি বাড়ানো: এই পদক্ষেপ সরকারি প্রক্রিয়াগুলিকে আরও নির্ভুল এবং দ্রুততর করবে।
নথির সংখ্যা হ্রাস: নাগরিকদের এখন পাসপোর্ট আবেদনের জন্য শুধুমাত্র একটি প্রধান নথি জমা দিতে হবে, যার ফলে নথি ব্যবস্থাপনা সহজ হবে।
জন্ম সনদের গুরুত্ব: এই উদ্যোগটি দেশে জন্ম সনদকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে প্রতিষ্ঠার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।
ইতিহাস এবং পটভূমি
এর আগে, ১৯৮৯ সালের ২৬ জানুয়ারী পাসপোর্টের জন্য জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে, নিয়ম পরিবর্তন করা হয় এবং সমস্ত আবেদনকারীকে যেকোনো একটি বিকল্প নথির বিকল্প দেওয়া হয়। এখন, ২০২৩ সালের সংশোধনীর মাধ্যমে, সরকার আবার জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক করেছে, তবে শুধুমাত্র ১ অক্টোবর, ২০২৩ সালের পরে জন্মগ্রহণকারীদের জন্য।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের নতুন তালিকা প্রকাশ, আবারও লজ্জিত ভারত, কারণ জানলে লজ্জায় মাথা নত হয়ে যাবে
আবেদনের পদ্ধতি এবং কীভাবে আবেদন করবেন?
জন্ম শংসাপত্র পান: ১ অক্টোবর, ২০২৩ সালের পরে জন্মগ্রহণকারী আবেদনকারীদের তাদের স্থানীয় পৌর কর্পোরেশন বা পঞ্চায়েত অফিস থেকে জন্ম শংসাপত্র নিতে হবে।
অনলাইনে আবেদন করুন: পাসপোর্ট সেবা পোর্টালে যান এবং আপনার নথি আপলোড করুন।
অন্যান্য নথির ব্যবহার: যদি আপনার জন্ম ১ অক্টোবর, ২০২৩ এর আগে হয়ে থাকে, তাহলে আপনি বিকল্প নথি ব্যবহার করতে পারেন।
এই নতুন নিয়ম কেবল নাগরিকদের জন্য প্রক্রিয়া সহজ করবে না বরং সরকারী কার্যক্রমকে আরও দক্ষ করে তুলবে। এই পদক্ষেপের ফলে জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক হবে এবং নাগরিকদের তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলি রেকর্ড করতে উৎসাহিত করা হবে।