পেটে গ্যাস হওয়ার কারণ জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন, আজই এই ভুলগুলো এড়িয়ে চলুন

গ্যাস ও এসিডিটির সমস্যা আজকাল প্রায় সবাইকে কোনো না কোনো সময়ে বিরক্ত করে। এটি এতটাই সাধারণ হয়ে গেছে যে, মানুষ একে তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসেবে মেনে নিয়েছে।
কিন্তু বারবার এই সমস্যা হওয়া শুধু অস্বস্তিকরই নয়, বরং এটি আপনাকে অস্থির ও অস্বস্তিকরও করে তুলতে পারে।
যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন, তাদের ঢেকুর ওঠা, পেটব্যথা, ক্র্যাম্প, বুকে জ্বালা, পেট ফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলি হতে পারে।
কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন এই সমস্যা বারবার হয়? যদি না ভেবে থাকেন, তাহলে আজ আমরা আপনাকে এর কিছু কারণ জানাব, যা বুঝে ও পরিবর্তন করে আপনি এই সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ভুল সময়ে খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয়
অনেক সময় আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসই এই সমস্যার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু মানুষ ভোরে উঠে যান, কিন্তু সকালের নাশতা বা দিনের প্রথম খাবার দুপুর ১২টার পর খান।
অন্যদিকে, অফিসে কাজ করা মানুষজন মিটিংয়ের তাড়াহুড়োয় দ্রুত লাঞ্চ সেরে ফেলেন। এই অভ্যাস ধীরে ধীরে পেটে সমস্যা তৈরি করে এবং গ্যাস ও এসিডিটিকে আমন্ত্রণ জানায়। সময়মতো খাবার খেলে আপনার হজমশক্তি ভালো থাকতে পারে।
ভুল খাবারের সংমিশ্রণ বিপদ ডেকে আনে
যদি খাবারের সঠিক সমন্বয় না থাকে, তবে সেটিও গ্যাসের কারণ হতে পারে। সকালে নাশতার সময় যদি আপনি পরোটা বা গরম চায়ের সঙ্গে নেন, অথবা ডোসা-ইডলির সঙ্গে কফি খান, তবে এটি আপনার পেটের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এর কারণ হলো, ফারমেন্টেড খাবার ও ভারী স্টার্চযুক্ত খাবার একসঙ্গে খেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে থাকে এবং আপনি অস্বস্তি অনুভব করেন।
বেশি কার্বোহাইড্রেট খেলে সমস্যা বাড়তে পারে
আপনি কি চাল, রুটি, পিজ্জা, পাস্তা বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খুব পছন্দ করেন? যদি হ্যাঁ, তবে এগুলোর অতিরিক্ত গ্রহণ আপনার হজমতন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের ফলে পেটে ফাঁপা ভাব ও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
বিশেষ করে, প্যাকেটজাত খাবার বা বাইরের খাবার এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এসব খাবার নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়া আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।
সতর্কতা ও ছোট পরিবর্তনে মিলতে পারে সমাধান
গ্যাস ও এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই খাদ্যাভ্যাসের প্রতি সচেতন হতে হবে। সঠিক সময়ে খাওয়া, সঠিক খাবারের সংমিশ্রণ এবং ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যগ্রহণ এই সমস্যাকে অনেকাংশে কমাতে পারে।
সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করলেই আপনি আপনার পেটকে সুখী রাখতে পারেন এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে পারেন।