কানাডা থেকে ভয় পেয়ে বড় বড় কথা বলা ট্রাম্প! ট্যারিফ নিয়ে ইউ-টার্ন

এই মুহূর্তে কানাডা ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর যুদ্ধের স্তরে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে শুরু করেছেন, কিন্তু কানাডার সামনে আমেরিকা নতিস্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন যে কানাডার স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করার পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে, কারণ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এই মন্তব্য পিটার নাভারো মঙ্গলবার CNBC-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে করেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার থেকে বাড়ানো শুল্ক কার্যকর হবে না। নাভারোর এই মন্তব্য আসে ঠিক তখনই, যখন কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড সাময়িকভাবে আমেরিকান বিদ্যুৎ রফতানির ওপর আরোপিত সারচার্জ স্থগিত করার ঘোষণা দেন। ধারণা করা হচ্ছে, যদি কানাডাও তাদের শুল্ক বজায় রাখে, তাহলে আমেরিকা দীর্ঘ সময় ধরে এই বাণিজ্য যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে না।
ইউ-টার্ন নিতে বাধ্য হল ট্রাম্প প্রশাসন
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত উল্টো প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। আমেরিকার বাজারে পতন দেখা গেছে এবং চীন ও কানাডা আমেরিকার বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। ট্রাম্প আগে বলেছিলেন যে তারা কানাডার স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে, যা বুধবার থেকে কার্যকর হবে। কিন্তু পরে নাভারো সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন।
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণাত্মক অবস্থান
জাস্টিন ট্রুডোর পরিবর্তে আসা কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা ও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব পোষণ করেন। মার্ক কার্নি, যিনি কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তিনি কানাডিয়ান পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে ‘আমেরিকার ৫১তম রাজ্য’ বানানোর ট্রাম্পের ক্রমাগত হুমকির তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “কেউ আমাদের অর্থনীতিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। আমরা জানি, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের উৎপাদিত পণ্য, আমাদের বাণিজ্য এবং জীবিকার ওপর অন্যায্য শুল্ক আরোপ করেছেন। তিনি কানাডার পরিবার, শ্রমিক ও ব্যবসার ওপর আক্রমণ করছেন, কিন্তু আমরা তাকে সফল হতে দেব না।”