কৃত্রিম হৃদয়ে ১০০ দিন: চিকিৎসা বিজ্ঞানে অস্ট্রেলিয়ার যুগান্তকারী সাফল্য​

কৃত্রিম হৃদয়ে ১০০ দিন: চিকিৎসা বিজ্ঞানে অস্ট্রেলিয়ার যুগান্তকারী সাফল্য​

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের এক ব্যক্তি, যিনি মারাত্মক হৃদযন্ত্র বিকলতায় ভুগছিলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর সিডনির সেন্ট ভিনসেন্টস হাসপাতালে ছয় ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার শরীরে সম্পূর্ণ কৃত্রিম হৃদযন্ত্র ‘BiVACOR টোটাল আর্টিফিশিয়াল হার্ট’ প্রতিস্থাপন করা হয়। এই টাইটানিয়াম নির্মিত হৃদযন্ত্রটি মানুষের হৃদয়ের সম্পূর্ণ কার্যক্রম প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম এবং এটি ছিল বিশ্বের প্রথম ইমপ্লান্টেবল রোটারি ব্লাড পাম্প। ​theguardian.com

অস্ত্রোপচারের পর, রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। কৃত্রিম হৃদযন্ত্র নিয়ে তিনি প্রায় এক মাস বাড়িতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করেন, যা এই প্রযুক্তির কার্যকারিতা প্রমাণ করে। মার্চের শুরুতে, ডোনার হৃদযন্ত্র পাওয়া গেলে, তার শরীরে সফলভাবে সেই হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়। এই সাফল্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে এবং ভবিষ্যতে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের জন্য কৃত্রিম হৃদযন্ত্রের ব্যবহারকে আরও প্রসারিত করার সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে। ​

BiVACOR হৃদযন্ত্রটি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ড. ড্যানিয়েল টিমস দ্বারা উদ্ভাবিত, যা চৌম্বকীয় লেভিটেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক রক্তপ্রবাহের ন্যায় কাজ করে। এই সাফল্য অস্ট্রেলিয়ার ‘আর্টিফিশিয়াল হার্ট ফ্রন্টিয়ার্স প্রোগ্রাম’-এর অংশ, যা মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে নতুন হৃদযন্ত্র উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো হৃদযন্ত্র বিকলতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রদান করা, যা ভবিষ্যতে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের জন্য ডোনারের উপর নির্ভরতা কমাতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *