দিল্লি ও সম্ভলে হোলি ও জুমার দিনে নিরাপত্তা জোরদার

১৪ মার্চ, শুক্রবার, হোলি উৎসব এবং জুমার নামাজ একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দিল্লি ও সম্ভলে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করেছে। দিল্লি পুলিশ ২৪টি সংবেদনশীল স্থানে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে, বিশেষ করে সিলামপুর, জাফরাবাদ, শিব বিহার, মুস্তাফাবাদ, ভজনপুরা, ত্রিলোকপুরী এবং উত্তর-পূর্ব ও সেন্ট্রাল দিল্লির হাউজ কাজি ও চাওড়ি বাজার এলাকায়। প্রায় ৩৫,০০০ পুলিশকর্মী শহরের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন থাকবে, এবং তাদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে। সেন্ট্রাল দিল্লির ডেপুটি কমিশনার হর্ষবর্ধন জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো ধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না, এবং যারা পরিবেশ বিঘ্নিত করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, উত্তর প্রদেশের সম্ভল জেলায় প্রশাসন হোলি উপলক্ষে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। প্রায় ১০টি মসজিদ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, যেগুলো হোলির শোভাযাত্রার পথে অবস্থিত, যাতে মসজিদের দেয়ালে রঙ না লাগে। মসজিদের ইমামরা জুমার নামাজের সময় পরিবর্তন করেছেন; সাধারণত দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে নামাজ অনুষ্ঠিত হলেও, এবার তা বেলা ২টা থেকে আড়াইটায় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, হোলির রঙ খেলার কার্যক্রম বেলা ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যেই শেষ করা হবে। সম্ভল জেলার শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেলার শান্তি বজায় রাখতে অতিরিক্ত সাত কো ম্পা নি সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উভয় সম্প্রদায়ের নেতারা শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন। প্রশাসন ও ধর্মীয় নেতাদের এই যৌথ প্রচেষ্টা আশা করা হচ্ছে হোলি ও জুমার নামাজ নির্বিঘ্নে পালনে সহায়তা করবে।