চীনের পারমাণবিক অস্ত্রাগার বৃদ্ধি: ভারতের উদ্বেগ বৃদ্ধি

বিশ্বের বৃহত্তম সেনাবাহিনীধারী চীন বর্তমানে দ্রুতগতিতে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ করছে। আমেরিকার ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের মতে, চীনের কাছে এখন প্রায় ৬০০ পারমাণবিক বোমা রয়েছে। এছাড়াও, চীন ব্যাপক পরিসরে মিসাইল ও পারমাণবিক বোমার প্রস্তুতিও চালাচ্ছে।
বিশ্বে মোট ৯টি দেশ পারমাণবিক অস্ত্রধারী, তবে চীন একমাত্র এনপিটি স্বাক্ষরকারী দেশ যা এত দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন করছে। আমেরিকান বিজ্ঞানীদের মতে, গত পাঁচ বছরে চীন তার পারমাণবিক অস্ত্রাগার অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, চীন বিভিন্ন ধরনের নতুন ও অধিক পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে, যা পূর্বে কখনও দেখা যায়নি। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, চীনের এই পারমাণবিক নীতির প্রধান লক্ষ্য আমেরিকা ও ভারত।
চীন ইতিমধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম সেনাবাহিনী গঠন করে তার প্রতিবেশী দেশগুলি যেমন ভারত, ফিলিপাইন ও জাপানকে হুমকি দিতে শুরু করেছে। তাইওয়ানের কাছে লাইভ ফায়ার ড্রিল করে সে তাকে নিয়মিত ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এখন চীনের উদ্দেশ্য সরাসরি আমেরিকার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানো, এবং এই কারণেই সে যুদ্ধস্তরে তার পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি করতে ব্যস্ত।
আমেরিকান বিজ্ঞানীদের মতে, চীনের পারমাণবিক বোমার সংখ্যা ৬০০-তে পৌঁছেছে। সঙ্গে সঙ্গে, সে তার তিনটি মিসাইল সাইলোর নির্মাণ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিচ্ছে, যেখানে আন্তঃমহাদেশীয় পারমাণবিক মিসাইল (ICBM) রাখা হবে। এছাড়াও, চীন একটি নতুন সাইলো প্রস্তুত করছে, যেখানে বিধ্বংসী DF-5 ICBM মিসাইল মোতায়েন করা হবে। চীনের এই সামরিক কৌশল বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।
পেন্টাগনের অনুমান অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক বোমার সংখ্যা ১০০০-এ পৌঁছাবে, যার মধ্যে অনেক বোমা তাৎক্ষণিক হামলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে। অন্যদিকে, ২০৩৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ১৫০০-তে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের কাছে এমন মিসাইল রয়েছে, যা সমগ্র ভারতে যেকোনো স্থানে পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম। এছাড়াও, চীনের কাছে বিভিন্ন আন্তঃমহাদেশীয় মিসাইল রয়েছে, যা আমেরিকার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।