পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে বাড়ছে রোগের ঝুঁকি!

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে বাড়ছে রোগের ঝুঁকি!

প্রতিবছর ১৪ মার্চ বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হয়, যার মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মধ্যে ঘুমের গুরুত্ব এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ফরিদাবাদের এশিয়ান হাসপাতালের ডাক্তার মানব মানচন্দনার মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। তবে, আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রা, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং মানসিক চাপের কারণে অনেকেই পর্যাপ্ত ঘুম নিতে পারেন না, যা বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। মোবাইল, ল্যাপটপ এবং টিভি থেকে নির্গত নীল আলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, তাই ঘুমানোর আগে স্ক্রিন থেকে দূরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।​

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে ক্লান্তি অনুভূত হয়, পাশাপাশি এটি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বিষণ্নতা, হৃদরোগ এবং স্থূলতার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া, মনোযোগের ক্ষমতা এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও প্রভাবিত হয়, যা ব্যক্তির ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য এবং দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত এবং গুণগত মানের ঘুম অপরিহার্য।​

ভালো ঘুমের জন্য কিছু সহজ পরামর্শ মেনে চলা যেতে পারে: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং জাগা, ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে মোবাইল, টিভি এবং ল্যাপটপ ব্যবহার না করা, রাতে হালকা এবং সুষম খাবার খাওয়া, ক্যাফেইন এবং নিকোটিন এড়ানো, ঘুমানোর পরিবেশ শান্ত এবং আরামদায়ক রাখা, এবং প্রতিদিন হালকা শারীরিক কার্যক্রম বা যোগব্যায়াম করা। সঠিক সময়ে ঘুমানো সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য, যা মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে এবং সঠিক শারীরিক বিকাশকে উৎসাহিত করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *