এই ছাত্ররা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে না, চেষ্টা করেও তাদের কঠোর পরিশ্রম বৃথা যাবে

কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কিছু যোগ্যতার মানদণ্ড এবং অগ্রাধিকার বিভাগ নির্ধারণ করা হয়েছে। কেভিএস-এ বালভাটিকা এবং প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এর জন্য, অনলাইন মোডে (কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ভর্তি) আবেদন করতে হবে। কেভিএস ভর্তি ২০২৫ নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, kvsangathan.nic.in-এ দেখা যাবে। কেভিএস-এ কারা ভর্তি হতে পারবে না তা জেনে নিন।
১. বয়সসীমার বাইরে থাকা
কেভিএস ক্লাস ১-এ ভর্তির জন্য, ৩১শে মার্চ তারিখে শিশুর বয়স ৬ বছর হতে হবে (সর্বনিম্ন ৫ এবং সর্বোচ্চ ৭ বছর)।
যদি শিশুটি এই বয়সসীমার কম বা বেশি হয় তাহলে ভর্তি দেওয়া হবে না। তবে, প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বয়সসীমায় ২ বছর ছাড় দেওয়া সম্ভব।
দ্বিতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য বয়সসীমা রয়েছে এবং বয়সসীমা কম হলে ভর্তি দেওয়া হয় না।
২. অগ্রাধিকার বিভাগে না পড়া
কেভিতে ভর্তির জন্য অগ্রাধিকার বিভাগগুলি নির্ধারণ করা হয়েছে:
বিভাগ ১: কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তান্তরযোগ্য কর্মচারীদের সন্তানরা।
বিভাগ ২: স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/সরকারি খাতের উদ্যোগে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সন্তানরা।
বিভাগ ৩: রাজ্য সরকারের হস্তান্তরযোগ্য কর্মচারীদের সন্তানরা।
বিভাগ ৪: রাজ্য সরকারের স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/উদ্যোগের কর্মচারীদের সন্তানরা।
বিভাগ ৫: অন্যান্য (বেসরকারি খাতে কর্মরত বা স্ব-কর্মসংস্থানকারী ব্যক্তিদের সন্তান)।
যদি আপনি এই বিভাগগুলিতে না পড়েন এবং আসনগুলি পূরণ হয়ে যায়, তাহলে আপনি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন না। এখানে প্রথম অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বিভাগ ১ কে। ৫ম শ্রেণীর শিশুরা কেবল তখনই ভর্তি হতে পারে যদি আসন খালি থাকে, যা সাধারণত হয় না।
৩. আসনের অপ্রাপ্যতা
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণীতে সীমিত আসন রয়েছে (সাধারণত প্রতি বিভাগে ৪০টি)। যদি সমস্ত আসন অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত শিশুদের দ্বারা পূরণ করা হয়, তাহলে বাকি আবেদনকারীরা যোগ্য হলেও ভর্তির সুযোগ পাবে না।
৪. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাব
জন্ম সনদ, বসবাসের প্রমাণপত্র বা পিতামাতার চাকরির সনদের মতো প্রয়োজনীয় নথি জমা না দিলেও আবেদন বাতিল করা যেতে পারে।
৫. বেসরকারি খাত বা বেসরকারি কর্মচারীর সন্তান (কম অগ্রাধিকার)
যদি বাবা-মা বেসরকারি খাতে কাজ করেন বা স্ব-কর্মসংস্থান করেন, তাহলে তাদের সন্তানদের ৫ম শ্রেণীতে রাখা হবে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলি মূলত সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য তৈরি করা হয়। অতএব, বেসরকারি খাতের শিশুরা তখনই ভর্তির সুযোগ পায় যখন অনেক আসন খালি থাকে, যা প্রায় আসাম্ভব।
৬. আরটিই নিয়ম না মানা
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীতে ২৫% আসন RTE (শিক্ষার অধিকার) এর অধীনে SC/ST/EWS/BPL/OBC-NCL এবং কাছাকাছি বাসিন্দাদের জন্য সংরক্ষিত। যদি শিশুটি এই বিভাগগুলিতে না পড়ে এবং সাধারণ বিভাগে আসন খালি না থাকে, তাহলে ভর্তি দেওয়া হবে না।
৭. নবম বা একাদশ শ্রেণীর প্রবেশিকা পরীক্ষায় ফেল করা
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নবম এবং একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য একটি প্রবেশিকা পরীক্ষা রয়েছে। যদি শিশুটি এতে উত্তীর্ণ না হয় অথবা দশম শ্রেণীর নম্বরের ভিত্তিতে (একাদশ শ্রেণীর জন্য) মেধা তালিকায় স্থান পেতে না পারে, তাহলে ভর্তি দেওয়া হবে না।
৮. ভুল তথ্য অথবা বিলম্বে আবেদন
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ভর্তি ফর্মে ভুল তথ্য প্রদান করলে অথবা শেষ তারিখের পরে আবেদন করলেও ভর্তি বাতিল হতে পারে।