ভারতে রোহিঙ্গারা সরকারের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছে, আর প্রতিবেশী দেশ এক লক্ষ রোহিঙ্গার সঙ্গে করল এমন কিছু, যা দেখে বিশ্ব হতবাক

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ও রোহিঙ্গাদের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং ঢাকার সংস্কার ও পরিবর্তন প্রক্রিয়ার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, গুতেরেস ১৩-১৬ মার্চ পর্যন্ত রমজান সংহতি সফরে বাংলাদেশে রয়েছেন। তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং তাদের আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সংহতির লক্ষ্যে কক্সবাজার সফর করেন। এছাড়াও, তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবদানসহ জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন।

মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয় শুক্রবার গুতেরেস ও ইউনুসের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, “মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। মহাসচিব বাংলাদেশের সংস্কার ও পরিবর্তন প্রক্রিয়ার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন।”

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন আন্তোনিও গুতেরেস

মহাসচিব কক্সবাজারে দিন কাটানোর পর ঢাকায় ফিরে এসেছেন। এটি ছিল রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদের বাংলাদেশি আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের সঙ্গে তার রমজান সংহতি সফরের অংশ। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এক দৈনিক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান যে, গুতেরেস শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান, যাদের মধ্যে অনেক তরুণ-তরুণী ছিলেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতা ও উদ্বেগের কথা জানান।

তিনি সেই শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন, যারা শিবিরে স্কুলে যেতে পারার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ, তবে তারা তাদের মিয়ানমারের বাড়ির কথা খুব মনে করছে বলে জানান।

যুবকদের দিলেন আশ্বাস

গুতেরেস সেই তরুণদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন, যারা এখনও তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার আশা রাখে। তবে তারা আসন্ন তহবিল সংকোচন নিয়ে উদ্বিগ্ন, যা তাদের মাসিক খাদ্য রেশনকে নাটকীয়ভাবে কমিয়ে দেবে (১২.৫০ মার্কিন ডলার থেকে ৬ মার্কিন ডলার প্রতি মাসে)।

মহাসচিব তাদের আশ্বস্ত করেন যে, তিনি এই তহবিল সংকোচন রোধ করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করবেন। এছাড়া, তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *