লস্কর-ই-তৈয়বাকে সবচেয়ে বড় আঘাত, পাকিস্তানে হাফিজ সাঈদের ঘনিষ্ঠ সন্ত্রাসী আবু কাতাল নিহত, রিয়াসি হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল

পাকিস্তানে সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বাকে বড় ধাক্কা লেগেছে। মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী আবু কাতাল সিংধীর হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনা শনিবার রাত ৮টার দিকে ঘটেছে। আবু কাতাল ভারতে একাধিক বড় হামলা চালিয়েছে।
এনআইএ তাকে মোস্ট ওয়ান্টেড ঘোষণা করেছিল
ভারতীয় সেনাবাহিনীসহ সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থার জন্য এই সন্ত্রাসী বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল।
হাফিজ সাঈদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল আবু কাতাল
সন্ত্রাসী আবু কাতাল লস্কর প্রধান হাফিজ সাঈদের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল। হাফিজ সাঈদ ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মাস্টারমাইন্ড, যেখানে ১৬৬ জন নিহত হয়েছিল। পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈয়বার ১০ জন সন্ত্রাসী মুম্বাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছিল। এই ঘটনার পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।
হাফিজ সাঈদই কাশ্মীরে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনার দায়িত্ব আবুকে দিয়েছিল। হাফিজই আবুকে লস্করের চিফ অপারেশনাল কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করেছিল এবং আবু তার নির্দেশেই কাশ্মীরে একের পর এক হামলা চালাত।
রিয়াসি হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল আবু কাতাল
উল্লেখ্য, ৯ জুন জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসিতে শিব-খোড়ি মন্দির থেকে ফিরে আসা তীর্থযাত্রীদের বাসে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছিল। এই হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিল আবু কাতাল সিংধী। কাশ্মীরে আরও বেশ কয়েকটি বড় সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবেও আবু কাতালকে দায়ী করা হয়। ২০২৩ সালে রাজৌরি হামলার জন্য এনআইএ আবু কাতালকে প্রধান অভিযুক্ত করেছিল।
রাজৌরি হামলায় কী ঘটেছিল?
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রাজৌরির হামলার তদন্তে এনআইএ পাঁচজন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল, যার মধ্যে তিনজন পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈয়বার সন্ত্রাসী ছিল। ১ জানুয়ারি ২০২৩-এ জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার ঢাংরি গ্রামে সন্ত্রাসীরা সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা চালায়। পরদিন সেখানে একটি আইইডি বিস্ফোরণ হয়। এই হামলায় দুই শিশুসহ সাতজন নিহত হয় এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।
চার্জশিটে থাকা তিন সন্ত্রাসীর মধ্যে লস্করের মূল অপারেটিভদের চিহ্নিত করা হয়েছিল, যাদের পরিচয় হলো সাইফুল্লাহ ওরফে সাজিদ জাট, ওরফে আলী, ওরফে হাবিবুল্লাহ, ওরফে নুমান, ওরফে ল্যাংড়া, ওরফে নৌমি, মোহাম্মদ কাসিম এবং আবু কাতাল ওরফে কাতাল সিংধী। আবু কাতাল ও সাজিদ জাট পাকিস্তানের নাগরিক ছিল, আর কাসিম ২০০২ সালে পাকিস্তানে চলে গিয়ে লস্কর-ই-তৈয়বায় যোগ দিয়েছিল।
এই হত্যাকাণ্ড লস্কর-ই-তৈয়বার জন্য বড় ধাক্কা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।