WPL 2025 ফাইনাল: মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন, দিল্লি ক্যাপিটালস টানা তৃতীয় ফাইনালে পরাজিত

WPL 2025 ফাইনাল: মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন, দিল্লি ক্যাপিটালস টানা তৃতীয় ফাইনালে পরাজিত

আইপিএল ২০২৫ মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খুশির বন্যা বইছে। মুম্বই আবারও নারী প্রিমিয়ার লিগ (WPL)-এর শিরোপা জিতেছে। WPL-এর প্রথম মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন, হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন মুম্বই, আগেরবারের মতোই দিল্লি ক্যাপিটালসকে ফাইনালে পরাজিত করে লিগের ট্রফি নিজেদের দখলে নিয়েছে।

মুম্বইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে, অধিনায়ক কৌরের দুর্দান্ত ইনিংস ও দলের শক্তিশালী বোলিং পারফরম্যান্সের সুবাদে মুম্বই দিল্লিকে ৮ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে।

শনিবার, ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত লিগের তৃতীয় মৌসুমের এই ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শুরুটা খারাপ করলেও পরে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত কামব্যাক করে। এরপর তাদের বোলাররা দিল্লিকে শুরুতেই ধাক্কা দিয়ে ম্যাচের ভিত্তি গড়ে দেয়। পরে যখন দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়, তখন মুম্বইয়ের বোলাররা আবার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে ছাড়ে।

হরমনপ্রীতের অসাধারণ ইনিংস

দিল্লি ক্যাপিটালসের অভিজ্ঞ অধিনায়ক মেগ ল্যানিংকে আগের দুই ফাইনালে পরাজয়ের কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল। এবার তার ভাগ্য বদলাবে বলেই মনে হচ্ছিল, যখন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা অলরাউন্ডার মারিজান কাপ (২/১১) মাত্র ৫ ওভারের মধ্যেই মুম্বইয়ের দুই ওপেনারকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন, তখন স্কোর ছিল মাত্র ১৪ রান।

কিন্তু এখান থেকে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ইনিংসের হাল ধরেন এবং তাকে সঙ্গ দেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ন্যাট সিভার-ব্রান্ট, যিনি WPL ইতিহাসে এক মৌসুমে ৫০০-র বেশি রান করা প্রথম ব্যাটার হয়েছেন। দুজনের মধ্যে তৃতীয় উইকেটের জন্য ৮৯ রানের পার্টনারশিপ হয়। এই সময়ে হরমনপ্রীত মাত্র ৩৩ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন। তিনি সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন, আর সিভার-ব্রান্ট করেন ৩০ রান। তাদের ব্যাটিংয়ে ভর করে মুম্বই ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তোলে।

শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে দিল্লি

দিল্লির কাছে আগের দুই ফাইনালের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল, কিন্তু গোটা মৌসুমে দুর্দান্ত ওপেনিং জুটি গড়া মেগ ল্যানিং ও শেফালি ভার্মা এবার ব্যর্থ হলেন। মাত্র ১৭ রানের মধ্যেই দুজনই তৃতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। জেস জনাসেন ও আনাবেল সাদারল্যান্ডও ৪৪ রানের মধ্যে আউট হয়ে যান।

দিল্লির আশা টিকে ছিল তারকা ব্যাটার জেমিমা রদ্রিগেজ (৩০)-এর উপর, যিনি দ্রুত রান তুলছিলেন এবং দলকে টিকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু ১১তম ওভারে এমেলিয়া কার নিজের বোলিংয়ে এক অসাধারণ ক্যাচ ধরে জেমিমার ইনিংসের ইতি টেনে দেন।

কাপের লড়াইও যথেষ্ট ছিল না

এরপর মারিজান কাপ (৪০) ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন এবং লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের সঙ্গে মিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তিনি চতুর্দিক থেকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দিল্লিকে ১৭ ওভারের শেষে ১২০ রানে নিয়ে আসেন। শেষ ৩ ওভারে দিল্লির দরকার ছিল ৩০ রান, কিন্তু বড় শট খেলার চেষ্টায় কাপ আউট হয়ে যান। এরপর নিকি প্রসাদ (২৫) লড়াই করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। দিল্লি ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানেই থেমে যায়।

মুম্বইয়ের হয়ে ন্যাট সিভার-ব্রান্ট সবচেয়ে বেশি ৩টি উইকেট নেন, যার মধ্যে মারিজান কাপ ও মেগ ল্যানিং-এর গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও ছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *