হোলির রঙে ডুবে থাকা ব্যক্তি মদ্যপান করলেন, নেশার ঘোরে স্ত্রীর সঙ্গে তীব্র ঝগড়া… তারপর যা ঘটল, তা অবাক করে দেবে

উত্তর প্রদেশের বদায়ুঁ জেলার সিভিল লাইন্স থানা এলাকায় হোলির দিনে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে এক মহিলা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। মহিলার নাম মীরা, এবং তার বাপের বাড়ির লোকজন তার স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ
সূত্র অনুযায়ী, মীরার স্বামী বিজেন্দ্র, যিনি মূলত কাসগঞ্জের বাসিন্দা, গত ৮ বছর ধরে তার স্ত্রী ও ৪ সন্তানকে নিয়ে মান্ডি কমিটির কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। বিজেন্দ্র একটি জেসিবি চালিয়ে তার পরিবারের ভরণপোষণ করতেন। হোলির দিনে তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে যান এবং গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন।
বাড়িতে তীব্র বাকবিতণ্ডা
জানা গেছে, যখন বিজেন্দ্র বাড়ি ফেরেন, তখন মীরা রেগে ছিলেন। দুজনের মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয়। রাগের বশে মীরা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন এবং ঘরে গিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে পড়েন। বিজেন্দ্র যখন বিষয়টি জানতে পারেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। তিনি দ্রুত মীরাকে ফাঁসি থেকে নামিয়ে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাপের বাড়ির পরিবারের গুরুতর অভিযোগ
এই ঘটনার খবর পেয়ে মীরার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং বিজেন্দ্রের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ আনেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই মীরার দেহের ময়নাতদন্ত করিয়েছে। ইন্সপেক্টর মনোজ কুমার সিং জানিয়েছেন যে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এখনো পর্যন্ত মীরার পরিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। এই ঘটনা পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে, এবং পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে।