শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, যুবতীর নগ্ন দেহ রেলওয়ে ট্র্যাকে উদ্ধার, প্রেমিক প্রথমে খাওয়াল সমোসা তারপর…

শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, যুবতীর নগ্ন দেহ রেলওয়ে ট্র্যাকে উদ্ধার, প্রেমিক প্রথমে খাওয়াল সমোসা তারপর…

শারীরিক সম্পর্ক করতে অস্বীকার করায় এক যুবতীকে হত্যা করার চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযুক্ত হত্যার পর মৃতদেহটি নগ্ন অবস্থায় রেলওয়ে ট্র্যাকে ফেলে দেয়।

মেয়েটির দেহ উদ্ধারের পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এবং তদন্ত চলছে।

কী ঘটেছে?

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৩ মার্চ লুধিয়ানার খান্না এলাকার রেললাইন সংলগ্ন আলোরে গ্রামে একটি মাঠে এক নাবালিকা কিশোরীর নগ্ন মৃতদেহ পাওয়া যায়। তদন্তের পর পুলিশ শুক্রবার অভিযুক্ত সঞ্জীত কুমার (২৬)-কে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত মূলত বিহারের মান্ডি গোবিন্দগড়ের বাসিন্দা এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করত।

পুলিশ জানিয়েছে, “অভিযুক্ত মেয়েটির সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মেয়েটি রাজি না হলে সে তাকে হত্যা করে।”

শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল?

একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত গত ১০ দিন ধরে মৃতার বাড়ির কাছাকাছি কাজ করছিল। ১১ মার্চ সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে সাতটায় সে মেয়েটিকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে দুজন একসঙ্গে সমোসা খায়। এরপর অভিযুক্ত মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়েটি অস্বীকার করলে সে তাকে হত্যা করে।

ময়নাতদন্তের পর প্রকাশ পাবে সত্য

প্রথমে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা দায়ের করেছিল। তদন্তের সময় মেয়েটির পরিচয় নিশ্চিত হয় এবং তার পরিবার জানায় যে সে ১১ মার্চ সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল। মৃতার বোনের সঙ্গে কথা বলার পর পুলিশ জানতে পারে যে অভিযুক্ত এবং মৃতার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

মেয়েটির বোন জানায়, “অভিযুক্ত মেয়েটিকে একটি মোবাইল উপহার দিয়েছিল এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।”

অভিযুক্ত বিবাহিত এবং দুই সন্তানের পিতা

তবে পুলিশি তদন্তে জানা যায় যে অভিযুক্ত বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত এবং ভিসেরা রিপোর্টের পরই বোঝা যাবে মেয়েটির সঙ্গে ধর্ষণ হয়েছিল কিনা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *