নবরাত্রিতে গরবা এবং ডান্ডিয়ার আসল কারণ কি জানেন?
নবরাত্রির উৎসব কেবল পূজার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর সাংস্কৃতিক দিকটিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নবরাত্রিতে গরবা এবং ডান্ডিয়া বাজানো ছাড়া নবরাত্রির উৎসব আসাম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়।
সর্বোপরি, নবরাত্রিতে এর এত গুরুত্ব কেন? আমাদের জানান-
শক্তি বৃদ্ধি: নবরাত্রির নয় দিন ধরে, দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পূজা করা হয়, যা শারীরিক ও মানসিক শক্তি জাগ্রত করে। এই সময়ে গ্রহগুলিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে, যা জীবনে সুখ এবং সাফল্য নিয়ে আসে।
চাঁদ এবং গ্রহের প্রভাব: চাঁদ মন এবং আবেগের সাথে জড়িত। নবরাত্রির সময় চাঁদের অবস্থান মনের শান্তি এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
নবরাত্রিতে গরবা এবং ডান্ডিয়ার গুরুত্ব (গরবা নবরাত্রি ২০২৫)
গরবা: গরবা শব্দের অর্থ ‘গর্ভ’ বা ‘অভ্যন্তরীণ প্রদীপ’। এটি দেবীর উপাসনার একটি উপায়। নবরাত্রির সময়, ‘গরবি’ নামক মাটির পাত্রে প্রদীপ জ্বালানো হয়। এটি দেবী দুর্গার শক্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। মানুষ এই পাত্রের চারপাশে একটি বৃত্তে নৃত্য করে, যা জীবন এবং শক্তির চক্রের প্রতীক। জনপ্রিয় মায়ের গানের উপর গরবা নৃত্য পরিবেশিত হয় এবং এটি উৎসর্গের প্রতীক।
গরবার সাংস্কৃতিক তাৎপর্য: গরবা নবরাত্রির একটি প্রধান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যা বিশেষ করে গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রে অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে পালিত হয়। এই নৃত্য দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তির প্রতীক।
ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ: গরবা নৃত্যের মাধ্যমে শরীরে ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত হয়। এই নৃত্যটি দলের মধ্যে সম্মিলিত ঐক্য এবং সম্প্রীতির প্রতীক। গরবার মাধ্যমে, শরীর ও মনের মাধ্যমে শান্তি ও শক্তি সঞ্চারিত হয়, যা জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে শুভ বলে বিবেচিত হয়।
ডান্ডিয়া: ডান্ডিয়াকে দেবী দুর্গা এবং মহিষাসুরের যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই খেলায় ব্যবহৃত লাঠিটিকে দেবী দুর্গার তরবারি হিসেবে দেখা হয়, যা অশুভের ধ্বংস এবং শুভের জয়ের প্রতীক।