২৩ বছর বয়সী নারী তার ভাইয়ের প্রেমে পড়লেন, স্বামীর মৃত্যুর পর জড়িয়ে ধরে বললেন— এখন তুমিই আমার ‘স্বর্গ’

একজন প্রিয়জনকে হারানোর পর, যখন কেউ অন্য কারও কাছ থেকে সান্ত্বনা পায়, তখন সেই মানুষ তার হৃদয় ও মনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এই আসক্তি যে কারও প্রতি হতে পারে—নিজের প্রতি বা কোনো অপরিচিতের প্রতিও।
অনেক সময় এই আসক্তি পুরো জীবন বদলে দিতে পারে।
চুরু শহরের ২৩ বছর বয়সী নিশার সঙ্গেও এমনই কিছু ঘটেছে। এক সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারানোর পর, তিনি এক যুবকের সান্নিধ্যে আসেন, যিনি তার দূর সম্পর্কের আত্মীয়, ভাইয়ের মতো। ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয়।
কিন্তু তার পরিবার এই সম্পর্ককে মেনে নিতে পারেনি এবং দুজনকেই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এতে ভয় পেয়ে নিশা ও তার প্রেমিক তাদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে। শেষমেশ কোনো সমাধান না পেয়ে তারা সরাসরি পুলিশের কাছে গিয়ে নিজেদের জান-মালের নিরাপত্তার আবেদন জানায়। নিশা বলেন যে তিনি সুখে বাঁচতে চান, কিন্তু তার পরিবার ও সমাজ তা মেনে নিতে পারছে না। যদিও তার প্রেমিক তার ভাই, কিন্তু হৃদয় কেবল তাকেই চায়।
এই প্রেমকাহিনি চলছে প্রায় দুই বছর ধরে।
নিশার মতে, তার পৈতৃক বাড়ি রাজগড়ে এবং শ্বশুরবাড়ি অনুপসরে। ২০১৫ সালে তার বিয়ে হয়েছিল। প্রায় ছয় বছর আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়। এরপর তিনি তার দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন।
প্রায় দুই বছর আগে, মামাতো ভাইয়ের বিয়েতে তার পরিচয় হয় ঝুনঝুনু জেলার টমকোর গ্রামের ২৫ বছর বয়সী বিনোদ কুমারের সঙ্গে। বিনোদ কাজের জন্য সরদারশহরে থাকতেন এবং ফেরিওয়ালাদের মালপত্র বিক্রি করে সংসার চালাতেন।
নিশা তার সন্তানদের নানাবাড়িতে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে চলে যান।
নিশা জানান, বিনোদ কুমার তার মামার ছেলে। তারা গত দুই বছর ধরে প্রেম করছেন। তিনি বিষয়টি পরিবারকে জানান, কিন্তু তারা এই সম্পর্ককে মেনে নেয়নি। তবুও তারা মোবাইলে কথা চালিয়ে যান। নিশা বলেন, তিনি তার পরিবারকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হন।
ফলে, তিনি তার দুই সন্তানকে দাদু-দাদির কাছে রেখে ১৪ দিন আগে বিনোদ কুমারের সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন।
নিশা এখন তার প্রেমিকের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে আছেন।
সেখান থেকে তারা ঋষিকেশ চলে যান। কিন্তু পরিবারের চাপ বাড়লে, তারা সরদারশহরে চলে আসেন, যেখানে বিনোদ কাজ করতেন। নিশা এখন সেখানে বিনোদের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে আছেন।
নিশা অভিযোগ করেন, তার পরিবার এখন বিনোদকে হুমকি দিচ্ছে—যদি সে তাকে বাড়ি না ফেরত পাঠায়, তবে তাদের দুজনকেই হত্যা করা হবে। শুধু তাই নয়, বিনোদের মা ও বোনকে অপহরণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
এই হুমকির পর, নিশা ও বিনোদ নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা আশাবাদী যে পুলিশ তাদের কথা শুনবে ও সহায়তা করবে।