অ্যাসপিরিন কি ক্যান্সারের বিস্তার বন্ধ করে? নতুন গবেষণা কী বলে জেনে নিন

অ্যাসপিরিন দীর্ঘদিন ধরে ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ওষুধটি ক্যান্সারের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। এর আগেও অ্যাসপিরিনের ব্যবহার এবং ক্যান্সার প্রতিরোধের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছিল।
এই নতুন গবেষণাটি অ্যাসপিরিনের উপকারিতার পাশাপাশি একটি সতর্কতাও নিয়ে আসে। যেখানে বলা হয়েছিল যে অ্যাসপিরিন কোনও নিরাময় নয়, এটি অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলতে পারে। নতুন গবেষণায় আর কী বলা হয়েছে জানেন?
ক্যান্সার এবং অ্যাসপিরিনের মধ্যে সম্পর্ক
ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে অনেক গবেষণা বেরিয়ে আসে। যার মধ্যে একটি হল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা। এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে ব্যথার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ অ্যাসপিরিন ক্যান্সারের বিস্তার রোধেও সহায়ক প্রমাণিত হতে পারে। কয়েক দশক ধরে, গবেষকরা এটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন যে এটি সমস্ত রোগের ক্ষেত্রে একইভাবে কাজ করে কিনা। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত প্রথম গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত অ্যাসপিরিন ব্যবহার কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে।
সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছিল যে অ্যাসপিরিনে এমন একটি প্রক্রিয়া পাওয়া গেছে যা ক্যান্সারের বিস্তার রোধে সাহায্য করতে পারে। এই ওষুধটি মেটাস্ট্যাসিসের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
কখন এটি ব্যবহার করা যাবে?
বেশিরভাগ মৃত্যু ক্যান্সার মেটাস্ট্যাসিস থেকে ঘটে, কারণ ক্যান্সার কোষগুলি মূল টিউমার থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং শরীরে শিকড় গাড়তে চেষ্টা করে। এদিকে, অ্যাসপিরিন ব্যবহার শরীরের প্রাকৃতিক লড়াই ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার কারণে ক্যান্সার কোষগুলি শরীরের অন্যান্য অংশে পৌঁছাতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে যে টিউমার অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের পরে অ্যাসপিরিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
এটি করা হয় কারণ ক্যান্সার কোষগুলি ইতিমধ্যেই টিউমার থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। যার কারণে এটি পরবর্তীতে টিউমার হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই সময়ে, অ্যাসপিরিন ব্যবহার ক্যান্সারকে আবার ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে পারে।