পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশ্বজুড়ে হাস্যকর অবস্থা… শুধু IPL নয়, অন্যান্য লিগেও কেউ পাত্তা দিচ্ছে না

পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা IPL-এ: পাকিস্তান ক্রিকেট দল তাদের লজ্জাজনক পারফরম্যান্সের কারণে বারবার শিরোনামে আসছে। সম্প্রতি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ দলটিকে লজ্জার মুখে পড়তে হয়েছে।
পাকিস্তান দল এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকেই একটিও ম্যাচ না জিতেই ছিটকে যায়।
এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও পাকিস্তান দলকে হারতে হয়। সেই ম্যাচে পাকিস্তান মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয়ে যায়, আর নিউজিল্যান্ড ৬১ বল হাতে রেখেই ৯ উইকেটে সহজ জয় পায়।
পাকিস্তানের ৫০ জন ক্রিকেটারের একজনও বিক্রি হয়নি
এই লজ্জাজনক পরাজয়ের ধারাবাহিকতার মাঝে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নিয়ে আরও একটি বিষয় নিয়ে বিশ্বজুড়ে হাসাহাসি চলছে। বিষয়টি হলো বিশ্বব্যাপী টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের প্রতি আগ্রহের অভাব।
নাসিম শাহ, সাইম আয়ুব, এবং শাদাব খানের মতো শীর্ষস্থানীয় পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা ‘দ হান্ড্রেড’ লিগের ড্রাফটে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছিল। তবে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের কিনতে আগ্রহ দেখায়নি।
মোট ৫০ জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার (৪৫ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী) এই ড্রাফটে নাম দিয়েছিলেন, কিন্তু তাদের মধ্যে একজনও দলে জায়গা পাননি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (IPL)-এ খেলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে, কিন্তু এখন অবস্থা এমন যে, অন্যান্য দেশীয় লিগগুলোতেও তাদের চাহিদা নেই।
IPL মালিকদের বিনিয়োগের কারণেই পাকিস্তানিদের প্রতি অনাগ্রহ?
এর অন্যতম কারণ হতে পারে বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতেও IPL ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের বিনিয়োগ রয়েছে।
দ হান্ড্রেড লিগে IPL ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অংশীদারিত্ব:
ইংল্যান্ডের ‘দ হান্ড্রেড’ লিগের চারটি দলের মালিকানায় IPL ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকদের বিনিয়োগ রয়েছে। দলগুলো হলো:
- ওভাল ইনভিন্সিবলস (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স মালিকানাধীন)
- ম্যানচেস্টার ওরিজিনালস (লখনউ সুপার জায়ান্টস মালিকানাধীন)
- নর্দার্ন সুপারচার্জার্স (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মালিকানাধীন)
- সদার্ন ব্রেভ (দিল্লি ক্যাপিটালস মালিকানাধীন)
এছাড়া, ওয়েলশ ফায়ার দলের ৫০% মালিকানা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যবসায়ী সঞ্জয় গোভিলের হাতে রয়েছে।
আফ্রিকান লিগেও নেই পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ECB)-এর সভাপতি রিচার্ড গোল্ড গত মাসে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে, IPL-এর বিনিয়োগ থাকা সত্ত্বেও দ হান্ড্রেড-এ পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে বাস্তবে তা ঘটেনি।
শুধু IPL এবং দ হান্ড্রেড নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার SA20 লিগেও পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের প্রতি কোনো চাহিদা নেই।
SA20-এর ৬টি দলই IPL ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকানায় রয়েছে, আর সম্ভবত এ কারণেই এখন পর্যন্ত কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটার এই লিগে খেলতে পারেননি।