ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত আসছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে কী পরিকল্পনা হচ্ছে?
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী:
সারা বিশ্বের নজর এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনার দিকে। এই যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টা দুই পক্ষেই তীব্র হয়ে উঠেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি এই বিষয়টিকে আর বেশি দীর্ঘায়িত করতে চান না।
ইউক্রেনও আমেরিকার শর্ত মেনে নিয়েছে। এর মধ্যেই ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিহা সোমবার ভারতে আসছেন। এই সফরের সময় তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং খুব সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করতে পারেন।
রাইসিনা ডায়ালগ… ১৭ থেকে ১৯ মার্চ
আসল ব্যাপার হলো, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিহা রাইসিনা ডায়ালগে অংশগ্রহণ করবেন। এই সম্মেলন ১৭ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে। এতে আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডও অংশ নেবেন। তিনি রবিবার ভারতে গোয়েন্দা প্রধানদের এক সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই সময়ে তার প্রধানমন্ত্রী মোদী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সমস্ত কিছুর মধ্যে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এইবার ভারতে আসছেন না। তবে ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আলেকজান্ডার এ. ডিনকিন ভারতে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া, নরওয়ে, সুইডেন, স্লোভেনিয়া, লাটভিয়া, মলদোভা এবং জর্জিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এই দেশগুলো নিজেদের অঞ্চলে যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।
ভারতের জন্য কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষার সুযোগ
ভারতের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ, কারণ দেশটি রাশিয়া, ইউক্রেন, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। গত কয়েক মাসে ভারত এই দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী গত বছরের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা
এদিকে, রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা ভালোই রয়েছে। তবে অন্যদিকে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ফের বিমান হামলা বেড়ে গেছে। এই সময়ে, দুই দেশই একে অপরের অঞ্চলে ১০০-র বেশি ড্রোন পাঠিয়েছে।