এ আর রহমানকে কেন হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো? সামনে এল আসল সত্য

এ আর রহমানকে কেন হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো? সামনে এল আসল সত্য

অস্কারজয়ী গায়ক ও সুরকার এ আর রহমানকে রবিবার সকালে চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে শীঘ্রই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। খবরে বলা হচ্ছিল, বুকে ব্যথার অভিযোগের পর রহমানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু তার টিম এই খবর অস্বীকার করে এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আসল কারণ জানায়। এদিকে, তার ছেলে আমিন রহমানও বাবার স্বাস্থ্যের আপডেট শেয়ার করেছেন।

রহমান কেন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন?

এ আর রহমানের ছেলে আমিন রহমান ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বাবার স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপডেট দিয়ে লিখেছেন—

“আমাদের সকল প্রিয় ভক্ত, পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের, আমি আপনাদের ভালোবাসা, প্রার্থনা ও সমর্থনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমার বাবা ডিহাইড্রেশনের কারণে কিছুটা দুর্বল অনুভব করছিলেন, তাই আমরা কিছু নিয়মিত পরীক্ষা করিয়েছি। তবে আমি আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই যে এখন তিনি ভালো আছেন। আপনাদের দয়ালু কথা ও আশীর্বাদ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সত্যিই আপনাদের উদ্বেগ ও অবিরাম সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ। আপনাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।”

টিম জানাল, বুকে ব্যথার অভিযোগ ভুল

এ আর রহমানের স্বাস্থ্য নিয়ে তার টিমের পক্ষ থেকেও একটি আপডেট এসেছে। তারা রহমানের বুকে ব্যথার অভিযোগ সংক্রান্ত খবরকে ভুল বলে দাবি করেছে। হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রহমানের টিম জানিয়েছে—

“রহমান স্যার ভালো আছেন। ঈশ্বর দয়ালু। তার বুকে কোনো ব্যথা ছিল না, এটি শুধু ডিহাইড্রেশনের কারণে হয়েছিল।”

স্ত্রী সায়রা বানো জানালেন— রহমান এখন সুস্থ

এ আর রহমানের স্বাস্থ্য নিয়ে তার স্ত্রী সায়রা বানোও তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রহমান এখন পুরোপুরি সুস্থ আছেন এবং তার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়েছে।

এছাড়া, সায়রা নিজেকে “রহমানের প্রাক্তন স্ত্রী” বলে উল্লেখ করার বিষয়েও আপত্তি জানিয়েছেন। আসলে, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে এ আর রহমান ও সায়রা বানোর বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। তবে এখন সায়রা স্পষ্ট করেছেন যে, তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। তিনি গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন যেন তাকে রহমানের “প্রাক্তন স্ত্রী” না বলা হয়, কারণ তারা এখনো স্বামী-স্ত্রী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *