টিভি ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দীর্ঘতম চলমান অনুষ্ঠান সিআইডি, ২১ বছর ধরে দর্শকদের বিনোদন দিয়ে আসছে। অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্ব ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে সম্প্রচারিত হয় এবং এরপর অনুষ্ঠানটি জাতির মন জয় করে।

সিআইডি চরিত্রগুলো যেমন দয়া, অভিজিৎ, এসিপি প্রদ্যুম্ন, ড. সালুঙ্কে এবং ফ্রেডি দর্শকদের মধ্যে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। কিন্তু ২০১৮ সালে হঠাৎ করেই এই অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পেছনের কারণটি অনুষ্ঠানের তারকা কাস্টরা তাদের একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন।

সিআইডির প্রধান অভিনেতারা লক্ষ্য মহেশ্বরীর ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া তাদের সাক্ষাৎকারে সিআইডি বন্ধের বিষয়ে কথা বলেছেন। এই কথোপকথনের সময়, তিনি প্রকাশ করেন যে শোটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া ২০১৬ সালেই শুরু হয়েছিল। অভিনেতারা জানিয়েছেন যে অনেক সময় শুটিংয়ের মাঝখানে তাদের থামিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর পরে, তাদের একজন নতুন প্রযোজকের সাথে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সমস্ত অভিনেতা তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

সিআইডি অভিনেতারা আরও বলেছিলেন যে তাদের প্রযোজক বিপি সিং চ্যানেলের পছন্দ হয়নি। এই কারণেই তাকে অনুষ্ঠানটি ছেড়ে যেতে বলা হয়েছিল। সমস্ত অভিনেতা বিপি সিংকে ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব প্রযোজকের সাথে কাজ করতে অভ্যস্ত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে চ্যানেলটি অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

শোতে দয়ার চরিত্রে অভিনয়কারী দয়ানন্দ শেঠি, অভিজিতের চরিত্রে আদিত্য শ্রীবাস্তব, ফ্রেডির চরিত্রে অভিনয়কারী দীনেশ ফড়নিস এবং এসিপি প্রদ্যুম্নের চরিত্রে শিবাজি সাটমের মতো অভিনেতারা দর্শকদের পছন্দ হয়েছিল। এছাড়াও নরেন্দ্র গুপ্ত, অনশা সায়েদ, শ্রদ্ধা মুসালে, জাহ্নবী ছেড়া সহ আরও অনেক অভিনেতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

সিআইডি বন্ধ হওয়ার পর, অনেক ভক্ত এবং দর্শক এই প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছিলেন যে এত দিন ধরে চলমান একটি অনুষ্ঠান হঠাৎ করে কীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এখন, এই প্রকাশের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে চ্যানেলের ভেতরে রাজনীতি এবং শিল্পীদের ইচ্ছার দ্বন্দ্বই এটি বন্ধ করার কারণ ছিল। কিন্তু গত বছর, অনুষ্ঠানটির ভক্তরা সুখবর পেয়েছিলেন যখন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় সিজন চালু হয়েছিল এবং এটি এখন নেটফ্লিক্সেও স্ট্রিম হচ্ছে।