2020 সালে সীমান্তে যা ঘটেছিল, তা দূরত্ব বাড়িয়ে দিল; প্রধানমন্ত্রী মোদী চীনের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দিলেন

2020 সালে সীমান্তে যা ঘটেছিল, তা দূরত্ব বাড়িয়ে দিল; প্রধানমন্ত্রী মোদী চীনের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দিলেন

আমেরিকান পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বিশেষ সাক্ষাৎকারের ভিডিও তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন। এই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর তার মতামত প্রকাশ করেছেন।

এর মধ্যে গোধরা কাণ্ড থেকে শুরু করে শৈশবের গল্প এবং পাকিস্তান ও চীনের সাথে সম্পর্কের বিষয়টিও বিশেষভাবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন। তিনি ২০২০ সালে সীমান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনার উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন কিভাবে এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আগে কখনো আমাদের মধ্যে সংঘর্ষের ইতিহাস ছিল না। যেখানে পার্থক্যের কথা আসে, সেখানে এটাও সত্য যে আমরা প্রতিবেশী দেশ এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে কিছু না কিছু ঘটনা ঘটতেই থাকে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই পার্থক্যগুলো যেন কখনো বিরোধে পরিণত না হয়।

ভারত-চীনের সম্পর্ক পুরনো এবং গুরুত্বপূর্ণ

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ভারত ও চীনের সম্পর্ক আজকের নয়, বরং এটি অনেক পুরনো। উভয় দেশই প্রাচীন সংস্কৃতির অংশ এবং আধুনিক বিশ্বেও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারত ও চীন একে অপরের কাছ থেকে শিখেছে এবং একসাথে কাজ করে বিশ্ব কল্যাণে অবদান রেখেছে। পুরনো রেকর্ড দেখলে বোঝা যায়, একসময় বিশ্ব অর্থনীতির ৫০ শতাংশেরও বেশি ছিল ভারত ও চীনের দখলে। আমি বিশ্বাস করি, অতীত যুগে আমাদের মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী সম্পর্ক ছিল। আমাদের কখনো সংঘর্ষের ইতিহাস ছিল না, বরং একে অপরকে জানারই ইতিহাস ছিল। এমনকি একসময় চীনে বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপক প্রভাব ছিল এবং সেটিও এখান থেকেই গিয়েছিল।”

পার্থক্য যেন বিরোধে পরিণত না হয়

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ককে শক্তিশালী রাখতে হবে। যেখানে পার্থক্যের কথা আসে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে কিছু না কিছু ঘটতেই পারে। এটি পরিবারের মধ্যেও হয়। কিন্তু আমরা চাই না যে আমাদের পার্থক্যগুলো কখনো বিরোধে পরিণত হোক। আমরা সবসময় সংলাপের উপর গুরুত্ব দিই। এটাই উভয় দেশের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে।”

২০২০ সালের ঘটনার উল্লেখ

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমরা শিখেছি যে আমাদের সীমান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। ২০২০ সালে সীমান্তে যা ঘটেছিল, তা আমাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছিল। আমি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করেছি এবং সীমান্ত পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। আমরা ২০২০ সালের আগের পরিস্থিতিতে ফিরে এসেছি এবং একসাথে কাজ করছি। পুরনো সময়ের উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সম্পর্ক ফিরে পেতে কিছুটা সময় লাগবে। আমাদের একসাথে থাকা শুধু আমাদের জন্যই নয়, গোটা বিশ্বের জন্যও ভালো, তবে কোনো সংঘর্ষ হওয়া উচিত নয়।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *