শতাব্দী এক্সপ্রেসে হুল্লোড় করা ৮ কর্মচারী গ্রেপ্তার, ট্রেনের ভিতরে উড়ানো হয়েছিল আবির

নয়াদিল্লি থেকে কানপুরগামী শতাব্দী এক্সপ্রেসে হুল্লোড় করা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে রেল কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। ৮ জন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হোলির দিন প্যান্ট্রি কারে স্টাফ এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ব্যাপক হুল্লোড় করেছিল।
ঘটনার বিবরণ:
গাজিয়াবাদ থেকে ট্রেন ছেড়ে যেতেই স্টাফরা হোলির আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে যান। ট্রেনের মধ্যে তারা হুল্লোড় শুরু করেন, যার ভিডিও দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, কর্মচারীরা প্রচুর পরিমাণে আবির উড়াচ্ছেন।
রেল সুরক্ষা বাহিনী (RPF) ট্রেনের বিক্রেতা এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বিরুদ্ধে রেল সম্পত্তির ক্ষতি এবং আসন নষ্ট করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
৮ কর্মচারী গ্রেপ্তার:
RPF-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে ৮ জন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন—নীতীশ মদানওয়ার, ফতে কৃষ্ণ, আয়ুষ ভারতী, সাজিদ আহমেদ, সরবন, ওমকার, সন্দীপ এবং ধীরজ কুমার। এদের বিরুদ্ধে হুল্লোড় ও ট্রেনের আসন নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভিডিওতে প্যান্ট্রি কার ম্যানেজার অর্জিত যাদবকেও দেখা গিয়েছে, কিন্তু তার নাম না তো গ্রেপ্তার তালিকায় রয়েছে, না FIR-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষের তদন্ত শুরু:
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। কর্মকর্তাদের মতে, এই VIP ট্রেনে সম্ভবত এটাই প্রথম ঘটনা যেখানে এমনভাবে হোলি উদযাপন করা হয়েছে। প্রচুর আবির ও রং ছোঁড়া হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষ আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল যে হোলির দিনে ট্রেনের আসনে রং বা কাদা না লাগানো হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বিক্রেতা এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা হুল্লোড় চালিয়ে যান।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘটেছে ১৪ মার্চ। ভিডিও ভাইরাল হতেই রেল কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
হোলির দিন সতর্ক ছিল রেল কর্তৃপক্ষ:
হোলির দিন ট্রেনে কোনো বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, সে জন্য রেল কর্তৃপক্ষ আগেই সতর্কতা জারি করেছিল। রেল স্টেশন ও ট্রেনে ডগ স্কোয়াডের সঙ্গে RPF এবং GRP যৌথভাবে অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছিল।
এছাড়াও, সন্দেহভাজন যাত্রীদের উপর নজর রাখতে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছিল।