হ্যান্ডসাম ছিল দুলাভাই, সুন্দরী ছিল শালি, দুজনের মধ্যে প্রেম, যখন দিদিকে জানানো হলো সত্য…

উত্তর প্রদেশ থেকে একটি অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। এক শালি তার নিজের দুলাভাইয়ের প্রেমে পড়ে যায়। তারপর প্রেম এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে সে ভুলেই যায়, এই ব্যক্তি অন্য কেউ নয়, বরং তার বোনের স্বামী।
দুজন তখন সব সীমা অতিক্রম করে একসাথে বসবাস শুরু করে। বিষয়টি যখন থানায় পৌঁছায়, তখন পুলিশও হতবাক হয়ে যায়।
৪ মাস আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল
উত্তর প্রদেশের মথুরা থেকে একটি অবাক করা প্রেমের গল্প প্রকাশ্যে এসেছে। করনাল অঞ্চলের এক তরুণীর ১২ বছর আগে নওহঝিল থানার এক গ্রামে বিয়ে হয়েছিল। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। ওই মহিলার ছোট বোনেরও ৫ বছর আগে বিয়ে হয় এবং তারও দুটি সন্তান আছে।
কিন্তু কেউই জানতেই পারেনি, কখন বড় বোনের স্বামীর সঙ্গে ছোট বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুলাভাইও শালির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি, কারণ দুজনেই বিবাহিত ছিল।
ফলে, ৪ মাস আগে দুলাভাই-শালি কাউকে কিছু না জানিয়ে, লুকিয়ে পালিয়ে যায়।
এবার বাড়ির লোকজনের হইচই
দুজন পরে রায়পুর রোডের একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে শুরু করে। ওদিকে, বাড়ির লোকেরা প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেনি। পরে জানতে পারে যে দুলাভাই ও শালি একসঙ্গে পালিয়েছে।
তাদের খোঁজ করা হয় এবং বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করা হয়। ছোট বোনকে যখন তার ভাই ফিরিয়ে নিতে চায়, তখন দুলাভাই তাকে বাধা দেয়। শালিও দুলাভাইয়ের পক্ষ নিয়ে বলে ওঠে—
“এখন উনি দিদির নন, আমার স্বামী। আমরা একসাথে থাকবো। কেউ কিছু করতে পারবে না।”
দুলাভাই-শ্যালকের মারামারি
এটা শুনেই ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। সে দুলাভাইকে কড়া কথা শুনিয়ে দেয়—
“আপনার লজ্জা করা উচিত! আপনি আমার বড় বোনের স্বামী, আপনার তো দুই সন্তান আছে। এখন আপনি আমার ছোট বোনের সঙ্গে থাকতে চান?”
এই কথা শুনেই দুলাভাই রেগে যায় এবং দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ইটভাটার ম্যানেজার পুলিশ ডাকতে বাধ্য হয়। পুলিশ এসে তিনজনকেই থানায় নিয়ে যায়। পুরো ঘটনা শুনে পুলিশও হতবাক হয়ে যায়।
পুলিশ অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোনো সমাধান বের করা যায়নি।
থানার ইনচার্জ শৈলেন্দ্র সিং জানিয়েছেন যে, শালি দুলাভাইয়ের সঙ্গে থাকার জন্য জেদ ধরে আছে। দুলাভাই ও শ্যালকের মধ্যে মারামারির ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ওদিকে, বড় বোন কান্নায় ভেঙে পড়েছে।