পাক সেনাবাহিনী নিজেই আক্রমণ চালায়। রমজানের পর পাকিস্তানের পরিকল্পনার কথা জানালেন প্রাক্তন সৈনিক

পাক সেনাবাহিনী নিজেই আক্রমণ চালায়। রমজানের পর পাকিস্তানের পরিকল্পনার কথা জানালেন প্রাক্তন সৈনিক

আজকাল, পাকিস্তানে সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে ক্রমাগত লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপর, বিশেষ করে বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায়, ভয়াবহ আক্রমণ হয়েছে, যার ফলে বিপুল সংখ্যক লোকের মৃত্যু হয়েছে।

এই কারণেই পাক সেনাবাহিনীর মধ্যে ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে এবং অনেক সৈন্য তাদের পাক সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করছে। এদিকে, একজন প্রাক্তন পাকিস্তানি সৈনিক পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংসতার কথা প্রকাশ করেছেন, যার পরে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

পাকিস্তানি সৈনিক সম্প্রতি পাক সেনাবাহিনীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, যার পরে তিনি রহস্যজনকভাবে মারা যান। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা এবং অভিযান সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানি সৈনিক।

রমজানের পর পাকিস্তানের পরিকল্পনা

যদি সৈনিকের বক্তব্য বিশ্বাস করা হয়, তাহলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী রমজানের পরে বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় পশতুন এবং বালুচদের জাতিগত নির্মূলের লক্ষ্যে একটি নৃশংস অভিযানের পরিকল্পনা করছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে ধর্মীয় পণ্ডিতদের হত্যার পিছনে পাকিস্তান সরকার নিজেই জড়িত এবং মসজিদে বোমা বিস্ফোরণগুলি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়।

সেনাবাহিনীর নির্দেশেই খুন হয়: প্রাক্তন পাকিস্তানি সৈনিক

এক মর্মান্তিক স্বীকারোক্তিতে, একজন প্রাক্তন পাক সৈনিক স্বীকার করেছেন যে তার চাকরির সময়, তিনি তার অফিসারদের সরাসরি নির্দেশে ১২ জনকে হত্যা করেছিলেন এবং সেনাবাহিনী গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত ছিল। তার প্রকাশের কারণে, আজ তাকে অজ্ঞাত আততায়ীরা হত্যা করেছে। তবে, রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করেন যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিজেই সত্যকে চাপা দেওয়ার জন্য তাকে হত্যা করেছে।

প্রাক্তন সৈনিকের এই প্রকাশের পর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপর অনেক প্রশ্ন উঠছে, যার উত্তর এখন সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে চাওয়া হচ্ছে। তবে, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও ঊর্ধ্বতন বা জুনিয়র অফিসারের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি আসেনি। প্রাক্তন সৈনিকের প্রকাশ থেকে এটা স্পষ্ট যে পাকিস্তান কখনই তার কার্যকলাপ বন্ধ করবে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *