এশিয়ার কোন দেশে সবচেয়ে বেশি সোনা আছে এবং সেখানে কোন ধর্মের প্রাধান্য রয়েছে?

সোনা কেবল অলঙ্কার এবং অলঙ্কারের জন্যই নয়, বরং একটি শক্তিশালী অর্থনীতির জন্যও পরিচিত। যার কাছে বেশি সোনার মজুদ থাকে তাকে কেবল ধনীই নয়, আর্থিকভাবেও শক্তিশালী বলে মনে করা হয়।

সেটা ব্যক্তি হোক বা দেশ। আজ আমরা আপনাকে এশিয়ার এমন একটি দেশের কথা বলতে যাচ্ছি যেখানে সোনার পূর্ণ মজুদ রয়েছে। একে এশিয়ার ‘সোনার পাখি’ বললে ভুল হবে না। এই দেশের নাম চীন।

প্রতিদিন টন টন সোনা কোথা থেকে আসে?

ভারতের প্রতিবেশী দেশ চীনে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা রয়েছে। প্রতি বছর এখান থেকে কয়েক মেট্রিক টন সোনা উত্তোলন করা হয়। ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ক্যানারের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে চীনে ৩৭৮ মেট্রিক টন সোনা উৎপাদিত হয়েছিল। চীনের পরে, রাশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ২০২৩ সালে রাশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় ৩১০ মেট্রিক টন সোনা উত্তোলন করা হয়েছিল। যদি এভাবে দেখা যায়, তাহলে চীনে প্রতিদিন অনেক টন সোনা উত্তোলন করা হচ্ছে।

এশিয়ার কোন দেশে সবচেয়ে বেশি সোনা আছে?

এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সোনা চীনে রয়েছে। চীনের সোনার মজুদ ২১৯১.৫৩ টন। চীনের সোনার রিজার্ভ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীনকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে বিশ্বের বৃহত্তম সোনার মজুদের দিক থেকে চীনের অবস্থান ষষ্ঠ। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা আমেরিকার কাছে, ৮১৩৩ টন। চীনকে সোনার বৃহত্তম উৎপাদনকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কিন্তু তারা সেই সোনা নিজের দেশের মধ্যেই রাখে।

চীনে কোন ধর্মগুলো প্রচলিত?

চীনে অনেক ধর্মের মানুষ বাস করে। এই দেশে ১ বিলিয়ন ৪২ কোটি ৫৭ লক্ষ ৩১ হাজার ২৫৭ জন মানুষ বাস করে। চীনের জনসংখ্যার ৩৪% লোক এবং জাতিগত ধর্ম অনুসরণ করে। লোকধর্ম ঐতিহ্য এবং রীতিনীতির উপর ভিত্তি করে। এর পরে, ৩৩% মানুষ কোনও ধর্মেই বিশ্বাস করে না। এখানে ১৬ শতাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্ম অনুসরণ করে। ৭.৪% মানুষ খ্রিস্টধর্ম অনুসরণ করে। ৭% মানুষ নাস্তিক। ১.৭% মানুষ ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে। যদি প্রতিবেদনটি বিশ্বাস করা হয়, তাহলে এখানে ১৩ লক্ষেরও বেশি হিন্দু বাস করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *