ভারতীয় পাসপোর্টের নতুন নিয়ম, পরিচয়ের জন্য প্রয়োজনীয় হবে এই নথিপত্র

যদি আপনি বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে প্রথমে আপনার পাসপোর্টটি পরীক্ষা করুন। ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের জন্য কিছু নিয়ম সংশোধন করা হয়েছে। এর আওতায় নতুন পাসপোর্ট তৈরি করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
যদি আপনি নতুন পাসপোর্ট বানানোর পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এই খবরটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই নতুন পাসপোর্ট নিয়ম ভারতীয় নাগরিকদের জন্য পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়াকে সহজ এবং আরও নিরাপদ করে তুলবে। সংশোধিত নিয়মগুলিতে গোপনীয়তার বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়েছে। ভারত সরকার পাসপোর্ট সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছে, যার মধ্যে বাধ্যতামূলক জন্ম সনদ থেকে শুরু করে রঙ-কোডেড পাসপোর্ট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আপনি যদি নতুন পাসপোর্ট তৈরি করতে চান বা আপনার পাসপোর্ট নবায়ন করাতে চান, তাহলে অবশ্যই এই নিয়মগুলির দিকে নজর দিন। আসুন, নতুন নিয়মগুলি সম্পর্কে বিশদভাবে জেনে নিই।
জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক
১ অক্টোবর ২০২৩ বা তার আগে জন্মগ্রহণ করা ব্যক্তিদের জন্য জন্ম সনদ জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, কারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় জন্মতারিখের প্রমাণ হিসেবে এটি একমাত্র বৈধ নথি হিসেবে গণ্য হবে। আগে বিভিন্ন নথির মাধ্যমে জন্মতারিখ প্রমাণ করা যেত, তবে এখন শুধুমাত্র জন্ম সনদকেই গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
ঠিকানা পাসপোর্টে মুদ্রিত হবে না
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য পাসপোর্ট থেকে লিখিত ঠিকানার তথ্য সরিয়ে দেওয়া হবে। এর পরিবর্তে, ঠিকানাটি ডিজিটাল বারকোড হিসেবে পাসপোর্টে যুক্ত করা হবে, যা শুধুমাত্র ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা অ্যাক্সেস করতে পারবেন। এর ফলে, অন্য কেউ আপনার ঠিকানা জানতে পারবে না।
রঙ-কোডেড পাসপোর্ট
পাসপোর্টকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, যা পাসপোর্টধারীদের পরিচয় সহজ এবং আরও সুশৃঙ্খল করতে সাহায্য করবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পাসপোর্ট তিনটি রঙের মধ্যে থাকবে:
- সাদা পাসপোর্ট: সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য
- লাল পাসপোর্ট: কূটনীতিকদের জন্য
- নীল পাসপোর্ট: সাধারণ নাগরিকদের জন্য
অভিভাবকের নাম বাদ দেওয়া হবে
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আরও সুরক্ষিত করার জন্য, পাসপোর্ট থেকে বাবা-মায়ের নাম সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে, পাসপোর্টের শেষ পাতায় আর অভিভাবকের নাম উল্লেখ থাকবে না।
পাসপোর্ট পরিষেবা কেন্দ্রের সম্প্রসারণ
পাসপোর্ট পরিষেবার গতি বাড়ানোর জন্য, ভারত সরকার পাসপোর্ট পরিষেবা কেন্দ্রগুলির সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বর্তমান ৪৪২টি কেন্দ্র বাড়িয়ে ৬০০ করা হবে।
এই নতুন পরিবর্তনগুলির ফলে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়া আরও সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ হয়ে উঠবে।