অযোধ্যার রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনের পর থেকে শহরের অর্থনৈতিক চিত্র আমূল বদলে গেছে। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উদ্বোধন হওয়া এই মন্দিরটি এখন বিশ্বজুড়ে পুণ্যার্থীদের কাছে এক পবিত্র তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত রামলালার দর্শনে অযোধ্যায় আসছেন, যা শহরের অর্থনীতিতে নতুন গতি এনেছে। পর্যটকদের আকর্ষণ করতে শহরটিকে সম্পূর্ণভাবে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে, নতুন বিমানবন্দর চালু করা হয়েছে এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। এর ফলে সরকার ও মন্দির কর্তৃপক্ষের আয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ সরকারকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা কর জমা দিয়েছে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সেক্রেটারি চম্পত রাই জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সময়কালে জিএসটি বাবদ সরকার পেয়েছে ২৭৩ কোটি টাকা। এছাড়াও, অন্যান্য কর হিসেবে আরও প্রায় ১৩০ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। চম্পত রাই আরও উল্লেখ করেছেন যে, প্রতিদিন মন্দিরে আগত পুণ্যার্থীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মন্দির ও শহরের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে মহাকুম্ভ মেলার সময় প্রায় ১.৬ কোটি পুণ্যার্থী অযোধ্যায় এসেছিলেন। ২০২৩ সালে শহরটিতে প্রায় ১৬ কোটি পর্যটকের আগমন ঘটে, যার মধ্যে প্রায় পাঁচ কোটি পুণ্যার্থী রাম মন্দির দর্শনে আসেন। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটক ও ভক্তদের আগমন অযোধ্যার স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের আয় বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। রাম মন্দির শুধু ধর্মীয় গুরুত্বই বহন করে না, বরং এটি এখন অযোধ্যার অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও একটি প্রধান চালিকাশক্তি।