নারীর এই অঙ্গ কত গভীর? ডাক্তাররা আমাদের বলেন…

যোনি হল একটি প্রধান অঙ্গ যা নারীর যৌনাঙ্গের অংশ। এর গভীরতা গড়ে ৭ থেকে ১০ সেন্টিমিটার (২.৫ থেকে ৪ ইঞ্চি), তবে এই গভীরতা নারী থেকে নারীতে ভিন্ন হতে পারে।
বয়স, গর্ভাবস্থা এবং শরীরের আকারের উপর নির্ভর করে যোনির গভীরতা পরিবর্তিত হতে পারে।
অন্যথায়, যোনিপথটি স্থিতিস্থাপক, এবং প্রসবের সময় এটি প্রসারিত হতে পারে। তবে, যৌন মিলন এবং অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সময় এটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। কোনও অস্বস্তি বা উদ্বেগের ক্ষেত্রে, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা বাঞ্ছনীয়।
গবেষণাটি কী বলে: ব্রিটিশ জার্নাল অফ অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনোকোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যোনির গড় গভীরতা ৩.৭৭ ইঞ্চি (৯.৬ সেন্টিমিটার)।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে যোনির গঠন কেমন?
১. বাহ্যিক শারীরস্থান
স্ত্রীযোনিদ্বার: স্ত্রীযোনিদ্বার হল স্ত্রীযোনিদ্বারের বাইরের অংশ, যা যোনির প্রবেশপথের চারপাশে অবস্থিত। এর অনেক অঙ্গ রয়েছে।
ল্যাবিয়া: এগুলো হলো বাইরের এবং ভেতরের ঠোঁট। ল্যাবিয়া মাজোরা (বড় ঠোঁট) এবং ল্যাবিয়া মিনোরা (ছোট ঠোঁট) রয়েছে, যা যোনির প্রবেশপথকে রক্ষা করে।
ভগাঙ্কুর: এটি ল্যাবিয়া মাইনরের উপরে অবস্থিত একটি ছোট সংবেদনশীল অঙ্গ এবং যৌন উত্তেজনার সময় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- অভ্যন্তরীণ শারীরস্থান
যোনি: এটি একটি নমনীয়, পেশীবহুল এবং ঝিল্লিযুক্ত অঙ্গ যা প্রায় ৭-১০ সেন্টিমিটার লম্বা (কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে এই আকার ভিন্ন হতে পারে)। যোনিপথের আকৃতি সুড়ঙ্গের মতো, যা গভীরে গিয়ে জরায়ুর সাথে সংযুক্ত হয়।
জরায়ুমুখ: যোনির ভেতরে জরায়ুর মুখকে জরায়ুমুখ বলা হয়। এটি একটি সরু, গোলাকার অংশ যা জরায়ু এবং যোনির মধ্যে সংযোগ তৈরি করে। জরায়ুমুখ মাসিকের রক্ত চলাচল, গর্ভাবস্থায় শিশুর জন্ম এবং যৌন মিলনের সময় শুক্রাণুর প্রবেশের জন্য দায়ী।
জরায়ু: জরায়ু যোনির শেষ প্রান্তে, জরায়ুর পিছনে অবস্থিত এবং শিশুর বিকাশের জন্য একটি নিরাপদ স্থান প্রদান করে। জরায়ুর দেয়াল পেশী দিয়ে তৈরি এবং প্রসবের সময় এগুলি সংকুচিত হয়।