কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি তার প্রথম বিদেশ সফরে প্যারিসে পৌঁছেছেন। কার্নি সোমবার বলেন যে কানাডার জন্য “বিশ্বস্ত মিত্রদের” সাথে সম্পর্ক জোরদার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে চলমান বাণিজ্য বিরোধের মধ্যে কার্নি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে দেখা করেছেন।

১৪ মার্চ শপথ গ্রহণের পর এটি কার্নির প্রথম সরকারি বিদেশ সফর। এরপর তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন, যেখানে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কাইর স্টারমার এবং কানাডার রাষ্ট্রপ্রধান রাজা তৃতীয় চার্লসের সাথে বৈঠক করবেন।

ম্যাক্রোঁ বলেন – শুল্ক মুদ্রাস্ফীতি আনে

“আমি নিশ্চিত করতে চাই যে ফ্রান্স এবং সমগ্র ইউরোপ কানাডার সাথে উৎসাহের সাথে কাজ করবে, যা সমস্ত অ-ইউরোপীয় দেশের মধ্যে সবচেয়ে ইউরোপীয় এবং যা আপনার মতো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্ভাব্য সর্বাধিক ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ,” কার্নি সোমবার বলেন, সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে।

ম্যাক্রোঁ বলেন, শুল্ক কেবল মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায়, তবে তিনি কানাডার উপর ট্রাম্পের আক্রমণের কথা উল্লেখ করেননি। “আমরা উভয়েই বিশ্বাস করি যে আন্তর্জাতিক নিয়মকে সম্মান করে এমন ন্যায্য বাণিজ্য সকলের সমৃদ্ধির জন্য ভালো এবং মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টিকারী শুল্কের চেয়ে অবশ্যই বেশি কার্যকর,” ম্যাক্রোঁ বলেন।

ওয়াশিংটন যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই: কার্নি

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যাংকার কার্নি বলেছেন যে ট্রাম্প যদি কানাডার সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা দেখান তবে তিনি তার সাথে দেখা করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ওয়াশিংটন সফরের তার কোনও পরিকল্পনা নেই তবে শীঘ্রই রাষ্ট্রপতির সাথে ফোনে কথা বলার আশা করছেন। ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তার সরকার মার্কিন তৈরি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়টিও পর্যালোচনা করছে।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি

আমরা আপনাকে বলি যে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণের সাথে সাথেই তিনি বিশ্বে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে, কানাডাও বিদ্যুতের উপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে এবং কানাডাকে ৫১তম রাজ্যে পরিণত করার কথাও বলেছে। ট্রাম্প বলেছেন যে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের শুল্ক মওকুফের কোনও ইচ্ছা তার নেই।