চীনে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার, কি জিনপিং বিরোধীদের দমন করার চেষ্টা করছেন?

চীনে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার, কি জিনপিং বিরোধীদের দমন করার চেষ্টা করছেন?

চীনের সেনাবাহিনীতে দুর্নীতি কোনো নতুন বিষয় নয়। শি জিনপিং তার সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের ওপর জোর দিচ্ছেন। তবে দুর্নীতির কারণে সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ ও কার্যক্রম প্রভাবিত হচ্ছে।

এখন দেখা যাচ্ছে যে, জিনপিং প্রশাসন সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আনছে এবং এর মধ্যেই শীর্ষ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, এসব গ্রেফতারের মাধ্যমে কি শি জিনপিং নিজের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিবাদগুলো দমন করার চেষ্টা করছেন?

চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের উপ-সভাপতি গ্রেফতার

চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (CMC) উপ-সভাপতি হে ওয়েইডংকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রেফতার চীনা সামরিক বাহিনীর বৃহৎ রদবদলের অংশ। একটি প্রধান সূত্র জানিয়েছে, হে ওয়েইডংয়ের গ্রেফতারের পর ঝাও কেশি এবং ফুজিয়ান গোষ্ঠীর জেনারেলদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।

চীনা সেনাবাহিনীতে দুর্নীতির নেটওয়ার্ক নির্মূলের প্রচেষ্টা

ঝাও কেশি, পিএলএ (PLA) জেনারেল লজিস্টিকস বিভাগের সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সেনাবাহিনীর সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও শক্তি কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। তার গ্রেফতারের ফলে সামরিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন আসতে পারে। সূত্রের মতে, ঝাও কেশির গ্রেফতার সামরিক বাজেট বরাদ্দ ও প্রতিরক্ষা শিল্পে দুর্নীতির নেটওয়ার্ক উন্মোচন করতে পারে, অথবা এটি শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের ইঙ্গিতও হতে পারে।

অনেক শীর্ষ কর্মকর্তাকে পদ থেকে সরানো হয়েছে

হে ওয়েইডংয়ের গ্রেফতারের পর তার সচিবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিম থিয়েটার কমান্ডের উপ-কমান্ডার ও বেশ কয়েকজন ফুজিয়ানভিত্তিক জেনারেলকে আটক করা হয়েছে। এটি চীনা সেনাবাহিনীতে গভীর গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এছাড়া, পূর্ব থিয়েটার নৌবাহিনীর কমান্ডার, সিএমসি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটির উপ-পরিচালক এবং সামরিক বিষয়ক দপ্তরের পরিচালককেও তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা পিএলএ-এর শীর্ষ স্তরে দ্রুত পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দেয়।

এটি কি অ্যান্টি-শি আন্দোলন দমনের কৌশল?

ফুজিয়ান দীর্ঘদিন ধরে শি জিনপিংয়ের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখন, ফুজিয়ানভিত্তিক সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ এই প্রশ্ন তুলছে যে, শি কি তারই সাবেক সহযোগীদের টার্গেট করছেন? নাকি তিনি সেনাবাহিনীতে বেড়ে ওঠা অ্যান্টি-শি আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করছেন?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *