২১ অথবা ২২ মার্চ, শীতলা অষ্টমী কবে? ইবাদতের গুরুত্ব এবং পদ্ধতি জানুন

২১ অথবা ২২ মার্চ, শীতলা অষ্টমী কবে? ইবাদতের গুরুত্ব এবং পদ্ধতি জানুন

হোলির ৮ দিন পরে শীতলা অষ্টমী আসে, যাকে বাসোদাও বলা হয়। হিন্দু ধর্মে এই উৎসবের তাৎপর্য অপরিসীম। এই দিনে মা শীতলার পূজা করা হয়। পঞ্জিকা অনুসারে, চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শীতলা অষ্টমীর উপবাস পালন করা হয়।

এই দিনে, মা শীতলাকে বাসি খাবার নিবেদন করা হয় এবং ঘরে সুখ ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়। শীতলা অষ্টমী নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। এমতাবস্থায়, পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, শীতলা অষ্টমী, অর্থাৎ ২১শে বা ২২শে মার্চ কখন, এর গুরুত্ব এবং পূজার পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাক।

শীতলা অষ্টমী কখন?

শীতলা অষ্টমী নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। কেউ বলছে ২১শে মার্চ, কেউ বলছে ২২শে মার্চ। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, শীতলা অষ্টমী পালিত হবে চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে অর্থাৎ ২২ মার্চ ২০২৫। জেনে রাখুন যে অষ্টমী তিথি ২২ মার্চ ভোর ০৪:২৩ মিনিটে শুরু হবে এবং ২৩ মার্চ ভোর ০৫:২৩ মিনিটে শেষ হবে।

শীতলা অষ্টমীর গুরুত্ব কী?

এবার আসুন শীতলা অষ্টমীর গুরুত্বও জেনে নিই। এই দিনে, বাসি খাবার তৈরি করে দেবী শীতলাকে নিবেদন করা হয়। কথিত আছে যে শীতলা অষ্টমীর দিন আগুন জ্বালানো হয় না, তাই রাতে খাবার রান্না করে পরের দিন পরিবেশন করা হয়। এর পেছনে একটি কারণ হল ঠান্ডা খাবার খেলে পেট ঠান্ডা থাকে এবং পাচনতন্ত্রও সুস্থ থাকে। শাস্ত্র অনুসারে, মা শীতলা তাঁর ভক্তদের রোগ থেকে রক্ষা করেন, তাই মানুষ রোগ থেকে মুক্তি পেতে তাঁর পূজা করেন।

পূজা কিভাবে করবেন?

এবার আসুন জেনে নিই কিভাবে মা শীতলার পূজা করতে হয়। এর জন্য, প্রথমে একদিন আগে থেকে খাবার প্রস্তুত করুন। পূজার জন্য, থালায় মিষ্টি রুটি, ভাত, মুগ ডাল, রোলি, মোলি, ভাত, প্রদীপ, ধূপকাঠি, দই, চিনি এবং জল নিন। এবার এই সমস্ত উপকরণ দিয়ে মা শীতলার পূজা করুন। রোগ থেকে মুক্তি পেতে শীতলা স্তোত্র পাঠ করুন। পূজায় ব্যবহৃত জল সকলের চোখে লাগান। এইভাবে উপাসনা করলে সুখ, সমৃদ্ধি, সম্পদ, মহিমা এবং ঐশ্বর্য আসে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *