গাড়িতে যুবক-যুবতীদের আপত্তিকর অবস্থা, দেখেই হতভম্ব স্থানীয়রা!

গাড়িতে যুবক-যুবতীদের আপত্তিকর অবস্থা, দেখেই হতভম্ব স্থানীয়রা!

মুজফ্ফরপুরের আহিয়াপুর এলাকার আখাড়াঘাটে রবিবার গভীর রাতে একটি গাড়িতে আপত্তিকর অবস্থায় তিন যুবতী ও এক যুবককে দেখতে পান স্থানীয়রা। টর্চের আলো পড়তেই তারা পালানোর চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে আহিয়াপুর থানার গশ্তি দল উপস্থিত হলে গাড়ি চালাচ্ছিলেন এক যুবতী, যিনি দ্রুত গাড়ি নিয়ে আখাড়াঘাট বাঁধ এলাকার একটি ছোট ঘরে ঢুকে পড়েন।

প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গাড়িটি সেখানে ছিল। রাত দেড়টার দিকে বাড়ির সদস্যরা দরজার সামনে গাড়ি দেখে টর্চ মারলে তিন যুবতী ও এক যুবককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। শোরগোল শুনে স্থানীয়রা জড়ো হন, তখনই গাড়িতে থাকা চারজন অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গাড়ি সিকন্দরপুর থেকে আসছিল এবং এতে থাকা এক যুবক ও এক যুবতী অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িটি জব্দ করে এবং পরে যাচাই শেষে তা ছেড়ে দেয়।

দেহজের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দ্বিতীয় বিয়ে

একই দিনে মুজফ্ফরপুরের মোতিপুর ফুলার এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর আরেকটি ঘটনা সামনে আসে। অভিযোগ, ১.৫ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। নির্যাতিত নারী গণিতা দেবী এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, যেখানে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সাতজন সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

নারীর অভিযোগ, ২০২১ সালে তার বিয়ে হয় এবং প্রথম ছয় মাস সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। পরে স্বামী ব্যবসার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে ১.৫ লাখ টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন। পরিবার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বামী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। পরে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে গ্রামের এক বাথানে থাকতে বাধ্য করেন। স্বামী পরে গোপনে অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনা জানতে পেরে স্ত্রী প্রতিবাদ করলে তাকে আবারও মারধর করা হয়। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *