ইরানের পরমাণু স্থাপনার কাছে মার্কিন ড্রোন, উত্তেজনা তুঙ্গে!

একদিকে যুক্তরাষ্ট্র হুথি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, অন্যদিকে ইরানকে সতর্কবার্তা দিচ্ছে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে, কারণ একটি মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ইরানের পরমাণু স্থাপনার কাছাকাছি উড়তে দেখা গেছে। কয়েক ঘণ্টা ধরে ওই ড্রোনটি ইরানের আকাশসীমার চারপাশে চক্কর কাটছিল।
ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা নূর নিউজ জানিয়েছে, মার্কিন ড্রোনের গতিবিধি নজরে আসার পরপরই ইরান তাদের এফ-১৪ যুদ্ধবিমান ও নজরদারি ড্রোন পাঠায়। ইরানি বাহিনীকে দেখেই মার্কিন ড্রোন দ্রুত সরে যায় এবং ইরানের আকাশসীমা ত্যাগ করে। এ ঘটনার পর ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে চলে গেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে যে কোনো শত্রুর আক্রমণের জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
এই ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন যে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করা হবে। অন্যদিকে, ইরানও হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, তারা তাদের আকাশসীমায় প্রবেশকারী যে কোনো শত্রু বিমানকে ধ্বংস করবে।
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সংঘাতের নতুন মোড় ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, যদি কোনো দেশ ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালায়, তবে তারা তাৎক্ষণিক এবং কঠোর প্রতিশোধ নেবে। এদিকে, মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনে অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছে এবং শতাধিক আহত হয়েছে বলে হুথি বিদ্রোহীদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এর ফলে, লোহিত সাগরের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে, হুথিরা যদি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালানো বন্ধ না করে, তবে তিনি “সম্পূর্ণ শক্তি” দিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাবেন।
মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছে, যা পুরো অঞ্চলে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে এই নতুন উত্তেজনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।