মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ভিওয়ান্ডির শিবক্ষেত্র মারাদে পাড়ায় ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ মন্দিরের (শক্তিপীঠ) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এই সময়, সিএম ফড়নবিস বলেন যে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের কারণেই আমরা এই দেশে আমাদের প্রিয় দেবতাদের মন্দির পরিদর্শন করতে পেরেছি।

তিনি দেশ ও ধর্মের জন্য যুদ্ধ করে স্বরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হনুমানজির দর্শন ছাড়া যেমন ভগবান শ্রী রামের দর্শন সম্পূর্ণ হয় না, তেমনি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের দর্শন ছাড়া কোনও দেবতার দর্শন সম্পূর্ণ হয় না।

অনুষ্ঠান চলাকালীন, সিএম ফড়নবিস বলেন যে কেন্দ্রীয় সরকার ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের ১২টি দুর্গকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোর কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সঙ্গমেশ্বর প্রাসাদ, যেখানে ছত্রপতি সম্ভাজি রাজে বিশ্বাসঘাতকতার সাথে বন্দী হয়েছিলেন। রাজ্য সরকার সেই দুর্গটি দখল করে এটির উন্নয়ন করতে চলেছে। সিএম ফড়নবিস বলেন, এই দেশে যদি কেউ আওরঙ্গজেবের সমাধিকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা করে, তাহলে তা ভেঙে টুকরো টুকরো করা হবে।

আওরঙ্গজেবের সমাধি নিয়ে মহারাষ্ট্রে রাজনীতি উত্তপ্ত। আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে আজ পুনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসের সামনে তীব্র বিক্ষোভ করেছে বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা। বজরং দলের কর্মীরা এই বিষয়ে অত্যন্ত আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের সমাধিটি অপসারণের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান। তাই, আওরঙ্গজেবের সমাধির চারপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে যাতে কেউ সমাধির কাছে যেতে না পারে।

এদিকে, এনসিপি (এসপি) সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে বলেছেন যে এই বিষয়টি কোনও দলের সাথে সম্পর্কিত নয়, বরং ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত। আমার মনে হয় না কোনও নেতার এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত। ইতিহাসবিদরা এই বিষয়ে কথা বলতে পারেন। আমি মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে আবেদন করব যে তারা ইতিহাসবিদদের মতামত নেওয়ার পরই এ বিষয়ে কিছু করুক।

একই সাথে, বজরং দলের নেতা নীতিন মহাজন বলেছেন যে সরকারের উচিত সঠিক অবস্থান নেওয়া এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ করা, অন্যথায় আমরা নিজেরাই এটি অপসারণ করতে বাধ্য হব।