তাইপেই/বেইজিং: একদিকে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ চলছে, তখন এশিয়াতেও উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে। চীন তাইওয়ানকে হুমকি দেখাচ্ছে। তাইওয়ান মঙ্গলবার জানিয়েছে যে তাদের দ্বীপের কাছাকাছি ৫৯টি চীনা যুদ্ধবিমান উপস্থিত হয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরের পর এই প্রথমবার চীন এত বড় সংখ্যায় যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের দিকে পাঠিয়েছে। এই ঘটনা তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তের “বিদেশি শত্রুতাপূর্ণ শক্তি” মন্তব্য করার কয়েকদিন পর ঘটেছে। চীন দাবি করে যে তাইওয়ান তার অংশ এবং তারা দ্বীপটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে, প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও।

চীন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তাইওয়ানের চারপাশে যুদ্ধবিমান এবং নৌবাহিনীর জাহাজ মোতায়েন বাড়িয়েছে। এটি তাইওয়ানের ওপর চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে, যদিও তাইওয়ান তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তাইওয়ানের আরও অভিযোগ, চীন গুপ্তচরবৃত্তি, সাইবার হামলা এবং ভুল তথ্য ছড়িয়ে তাদের প্রতিরক্ষা দুর্বল করার চেষ্টা করছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ৫৯টি যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ৯টি চীনা যুদ্ধজাহাজ এবং দুটি বেলুন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

চীনের হুঁশিয়ারি

এর আগে, গত ১৫ অক্টোবর চীন ১৫৩টি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ানের দিকে পাঠিয়েছিল। তখন প্রেসিডেন্ট লাই-এর জাতীয় দিবসের ভাষণের কয়েকদিন পরেই চীন ব্যাপক সামরিক মহড়া চালিয়েছিল। সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যে এটি তাইওয়ানের স্বাধীনতার জন্য ষড়যন্ত্র করা শক্তিগুলোর প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা। যদিও তাইওয়ান আকারে ছোট, তবু চীনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে, কারণ আমেরিকা তার পেছনে রয়েছে। আমেরিকা আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে স্বীকৃতি না দিলেও তার নিরাপত্তার পক্ষে সমর্থন দেখিয়ে আসছে।

তাইওয়ানকে ভয় দেখাতে জাহাজ পাঠাচ্ছে চীন

চীন প্রতিদিনই এমন মিশন চালায়, যার মাধ্যমে তারা তাইওয়ানের নিরাপত্তা ও মনোবল দুর্বল করতে চায়। তবে দ্বীপের ২.৩ কোটি বাসিন্দার বেশিরভাগই চীনের সার্বভৌমত্বের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে। তবে এখনো স্পষ্ট নয় যে চীন এত বড় সংখ্যায় যুদ্ধবিমান কেন পাঠিয়েছে।