দিল্লি বিধানসভায় আজ ‘ছাত্র’ হলেন বিধায়ক, ‘গুরুজি’ হয়ে ক্লাস নিলেন স্পিকার ওম বিড়লা, জানুন পুরো বিষয়
দিল্লি বিধানসভায় আজ থেকে নবনির্বাচিত বিধায়কদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। স্পিকার ওম বিড়লার উপস্থিতিতে দিল্লির জনগণের দ্বারা নির্বাচিত বিধায়কদের জন্য ক্লাস শুরু হয়। ঠিক যেমন নতুন ক্লাসে যাওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের সামনের ক্লাসের চ্যালেঞ্জ এবং নিয়ম শেখানো হয়, তেমনই আগামী পাঁচ বছর বিধায়ক হিসেবে তাদের কাজ ও বিধানসভায় কার্যপ্রণালীর নিয়ম-কানুন বোঝানো হবে এই দুই দিনের অধিবেশনে।
এআই-এর হবে ব্যবহার
আসন্ন সময়ে দিল্লি বিধানসভার সমস্ত বিতর্ক ডিজিটাইজ করা হবে। শুধু তাই নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI)ও ব্যবহার করা হবে। আরও বেশি করে প্রযুক্তির সাহায্যে উন্নততর যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হওয়া হবে।
বিধায়কদের জন্য রুল বুক প্রস্তুত
বিধায়ক হওয়া নিজেই একটি বিশাল দায়িত্ব। বিধানসভায় বিধায়কদের প্রতিটি কথার সম্পর্ক দিল্লির জনগণের সাথে যুক্ত। স্বভাবতই, বিধায়কদের প্রতিটি কাজের ওপর জনগণের নজর থাকবে। এই প্রসঙ্গে বিধানসভার স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্তা বলেছেন, “এই সংসদ গণতন্ত্রের মন্দির, এটি নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়। তাই এখানে কথা বলার আগে নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। বিধানসভার অধিবেশনে নিয়মিতভাবে অংশ নেওয়া উচিত, কারণ এটি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার এক বিশাল সমুদ্র। এছাড়া, এখানে অন্যান্য বিধায়কদের মতামতও মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত। শুরু থেকেই বিধানসভায় সতর্ক থাকতে হবে এবং নতুন সদস্যদের অবশ্যই বিধানসভার রুল বুক ভালোভাবে বুঝতে হবে, কারণ এই বিধানসভার কাজকর্ম সেই নিয়ম অনুযায়ীই চলে।” বিধায়কদের আরও বোঝানো হয়েছে যে বিধানসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় ভদ্রতা ও শালীনতার সাথে বক্তব্য পেশ করা উচিত।
আজকের সময়ে কি আওরঙ্গজেব নিয়ে আলোচনা করা জরুরি?
- হ্যাঁ, ইতিহাসকে ভোলা যায় না।
- না, বর্তমান সময়ে এর কোনো প্রয়োজন নেই।
- আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় আছে, যেগুলোর ওপর আলোচনা হওয়া জরুরি।
লোকসভা স্পিকারের ক্লাস
দিল্লির ৭০ সদস্যবিশিষ্ট বিধানসভায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, “যে ভবনে আমরা বসে আছি, সেই ভবন স্বাধীনতা সংগ্রামের সাক্ষী।” তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “বিধায়কদের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ভবন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চিন্তাধারার প্রকাশস্থল, এখান থেকেই স্বাধীনতা আন্দোলনের পাশাপাশি আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “দিল্লি হলো এমন একটি স্থান যেখানে সমস্ত রাজ্যের বৈচিত্র্য মিলেমিশে আছে, একে একটি ‘মিনি ভারত’ বলা যেতে পারে।”