নতুন দিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে যে, যদি কোনও মহিলা প্রেমের বশবর্তী হয়ে কোনও পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, তাহলে তা ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না।

একজন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

মহিলাটি তার সম্মতিতে ১৬ বছর ধরে তার সাথে ছিলেন, কিন্তু তিনি অভিযোগ করেছেন যে অভিযুক্ত তাকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।

একজন উচ্চ শিক্ষিত মহিলা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের না করায় সুপ্রিম কোর্ট বিস্ময় প্রকাশ করেছে, যা এই দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যদি কোনও মহিলা প্রেমের বশবর্তী হয়ে কোনও পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে তা ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে না।

৩ মার্চের রায়ে আদালত বলেছে যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতা ধর্ষণের অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না যদি না প্রমাণিত হয় যে অভিযুক্তের শুরু থেকেই বিয়ে করার কোনও ইচ্ছা ছিল না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে অভিযুক্ত অন্য কাউকে বিয়ে করার পর মহিলাটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। অভিযোগের পিছনে প্রতিশোধের মনোভাব রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ মামলাটি শুনানি করে অভিযুক্তকে স্বস্তি দেয়।

এলাহাবাদ হাইকোর্ট ধর্ষণ মামলাটি খারিজ করতে অস্বীকৃতি জানায়, যার পরে সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের করা হয়। ২০২২ সালে, উত্তর প্রদেশের ইটাওয়াতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগকারীর অভিযোগ, ২০০৬ সালে, অভিযুক্ত ব্যক্তি রাতে তার বাড়িতে ঢুকে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং তার পরেও তাদের মধ্যে সম্পর্ক অব্যাহত ছিল। অভিযুক্তরা সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি দিয়েছিলেন যে তাদের সম্পর্ক সম্পূর্ণ সম্মতিতে হয়েছিল। অভিযুক্ত দাবি করেছেন যে যখন তিনি মহিলার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং অন্য মহিলাকে বিয়ে করেন, তখন মহিলা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।