জর্জ সোরোসের সাথে যুক্ত সংস্থাগুলির উপর ইডির পদক্ষেপ, বেঙ্গালুরুতে ৮টি জায়গায় অভিযান; অভিযোগগুলো কী?

আমেরিকান ধনকুবের জর্জ সোরোসের সাথে যুক্ত একটি এনজিওতে অভিযান চালানো হয়েছে। ইডি জর্জ সোরোস ফাউন্ডেশন, ওপেন সোরোস ফাউন্ডেশন (ওএসএফ) এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক অফিসে অভিযান চালায়।
ওএসএফ এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সূত্র জানিয়েছে যে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন (FEMA) এর অধীনে সুবিধাভোগীদের প্রাঙ্গণে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, যার মধ্যে কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরাও রয়েছেন। সংস্থাটি অ্যামনেস্টি এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (HRW) এর প্রাক্তন এবং বর্তমান কর্মীদের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে।
কোথায় কোথায় ইডির অভিযান চলছে?
ইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোরোস ওএসএফকে “প্রিয়র রেফারেন্স ক্যাটাগরি”-তে রেখেছিল, যা ভারতের এনজিওগুলিকে অনিয়ন্ত্রিত অনুদান প্রদান থেকে বিরত রাখে।
এই নিষেধাজ্ঞা এড়াতে, OSF ভারতে তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে FDI এবং পরামর্শ ফি’র নামে অর্থ এনেছিল এবং এই তহবিলগুলি NGO-এর কার্যক্রমের জন্য অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল যা FEMA-এর লঙ্ঘন।
ইডি অন্যান্য এফডিআই তহবিলের ব্যবহারের তদন্তও করছে।
ইডি সোরোস ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (SEDF) এবং OSF দ্বারা আনা অন্যান্য FDI তহবিলের শেষ ব্যবহার সম্পর্কেও তদন্ত করছে। ইডির তল্লাশিতে মেসার্স আসপাদা ইনভেস্টমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের তল্লাশিও অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা ভারতে SEDF-এর বিনিয়োগ উপদেষ্টা/তহবিল ব্যবস্থাপক এবং মরিশাসের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন একটি সহায়ক সংস্থা।
FEMA লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলি
প্রতিবেদন অনুসারে, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন (FEMA) লঙ্ঘনের জন্য ED-এর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ২০২০ সালের ডিসেম্বরেই ভারতে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। অবৈধ বিদেশী তহবিলের অভিযোগের কারণে সংগঠনটির ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করা হয়েছিল।